প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রামু  উপজেলার দুর্গম গর্জনিয়ায় বন্যার্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিলো হোপ ফাউন্ডেশন। ১৫ জুলাই গর্জনিয়া ইউনিয়নের সিকদার পাড়া (বটতলি) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙিনায় এই চিকিৎসা দেয়া হয়। এই উপলক্ষ্যে এক চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। উক্ত চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যাান তৈয়ব উল্লাহ সিকদার, স্থানীয় সমাজসেবক জিল্লুর রহমান এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যরা। তাঁরা সবাই হোপ ফাউন্ডেশনের এই ধরণের চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজনের প্রশংসা করেন
এসময় তারা বলেন, হোপ ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে গরীব ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এটি অত্যন্ত মহৎ কাজ। তাদের এই চিকিৎসা সেবা পেয়ে অনেক রোগী নতুন জীবন পাচ্ছে; যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারে না। হোপ ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও এই ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখে গরীব রোগীদের সহযোগিতা করে যাবেন বলে আমরা আশা রাখি। একই সাথে বিভিন্ন দুর্যোগে হোপ ফাউন্ডেশনকে সব সময় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।
হোপ ফাইন্ডেশনের কান্ট্রি ডাইরেক্টর এস.এম ফেরদৌসুজ্জামান পিএসপি জানান, গর্জনিয়ায় আয়োজিত চিকিৎসা ক্যাম্পে ১৭০ জনের অধিক নারী-পুরুষ এবং শিশুদের বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেয়া হয়। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার সেলাইন বিতরণ করা হয়। হোপ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পক্ষে ডা. মোহাম্মদ, ডা. সালমাসহ ৬ জনের মেডিক্যাল টিম এই চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করেন এবং ক্যাম্প পরিচালনার সার্বিক সহায়তায় ছিলেন হোপ ফাউন্ডেশন এর সুপারভাইজার মুসা। বন্যা পরবর্তী গত ৮ জুলাই হোপ ফাউন্ডেশন রামুর চাকমারকুলে বন্যার্তদের জন্য চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেন। সেখানে ১০০ জনের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার সেলাইন বিতরণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, হোপ ফাউন্ডেশন ১৯৯৯ সাল থেকে কক্সবাজারের বৃহৎ অঞ্চলে গরীব রোগীদের বিনামূল্যে ও কম মূল্যে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় এক বিরল চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে। হোপ ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হোপ হাসপাতালে এই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা আরো বাড়ছে।