ঈদের পর কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ফের মন্দার কবলে পড়েছে। সমুদ্রে গর্জন থাকলেও তা শোনার পর্যটক নেই। ঈদের ছুটিতে চার লাখেরও বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটলেও এখন অনেকটা ফাঁকা সেখানকার সৈকত।

কক্সবাজারে ছোট-বড় প্রায় তিন শতাধিক হোটেল-মোটেল এখন পর্যটক শূন্য বলা চলে। কক্সবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। গনমাধ্যমকর্মী জাহিদ হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতের গাড়িতে চড়ে তিনি কক্সবাজার যান। সকালে সৈকতে গিয়ে দেখতে পান গোটা সৈকত পর্যটক শূন্য । কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ও হোটেল-মোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলেও এ তথ্য জানা যায়।

ঈদের ছুটির পর বেশিরভাগ হোটেল অনেকটা ফাঁকা। মাত্র ১০-১২ জনের বেশি অতিথির সন্ধান মেলেনি কোন হোটেলে। ঈদে পর্যটক থাকলেও এখন আর তেমন নেই। কক্সবাজারের স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদে কিছু ব্যবসা হলেও এখন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন।

এছাড়া বর্ষাকাল হওয়ায় এই সময় পর্যটক বেড়াতে আসতে চায় না। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। অনেকটা ফাঁকা পড়ে আছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলী ও লাবনী পয়েন্ট। যেখানে লাখো পর্যটকের সমাগম ছিল ঈদের পরও। কিন্তু ঈদের কিছুদিন পর থেকে এসব জায়গায় আগের মতো পর্যটকদের সমাগম নেই।

এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটর কোম্পানি ‘বীচ ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস’ এর স্বত্বাধিকারী হাসানুজ্জামান হিমেল বলেন, ঈদ পরবর্তী এই সময়টা প্রতিবারই পর্যটন শিল্পের অনুকূলে থাকে না। এ সময় সংশ্লিষ্টদের লোকসান গুনতে হয়।