পূর্বপশ্চিমবিডি:

‘ইয়াবা সম্রাট’ হিসাবে চিহ্নিত উখিয়া-টেকনাফ আসনের প্রভাবশালী এমপি আবদুর রহমান বদির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রকাশ্যে তীব্র সমালোচনা করে এরই মধ্যে দেশজুড়ে বেশ আলোচিত কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়।  স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সাহসী ভূমিকা প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রায় সকলেই।

আর সেই আলোচিত ছাত্রনেতাকে ঘিরে সংসদীয় নির্বাচনে নয়া সমীকরণ তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হিসাবে তাকেই দেখতে চান। তাকে সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে চাওয়ার যথেষ্ট কারণও তুলে ধরেছেন জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী। যদিও ইশতিয়াক আহমদ জয়ের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরণের কোনো সংকেত আসেনি।

আ.লীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ও উদীয়মান নেতাদের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাদের মতে, বিগত কয়েক দশকের মধ্যে ইশতিয়াক আহমদ জয়ের মত জনপ্রিয়, সাহসী ও বলিষ্ট নেতৃত্বের অধিকারী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আর দেখেননি তারা। তার গতিশীল নেতৃত্বে কক্সবাজারের ছাত্র সমাজ বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে সুসংগঠিত এবং হানাহানিমুক্ত। এর কিছু উদাহরণও তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি এসব নেতাদের।

তাদের মতে, সারাদেশে এমপি আব্দুর রহমান বদি ইয়াবা গডফাদার হিসাবে পরিচিত। এমপি বদির সংসদীয় আসন উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় তার অন্যায় ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারো নেই। বিতর্কিত এই সাংসদ তার এলাকায় অনেক শিক্ষক, প্রকৌশলী ও অনেক মর্যাদাবান মানুষের গায়ে হাত তুলেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনের প্রায় কাজে তার স্বার্থে বাঁধা সৃষ্টি করেন।

সর্বশেষ গেল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বদির অনুগত ইয়াবা, মানবপাচারকারী, জঙ্গিসম্পৃক্ত ব্যক্তি এবং জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছেন। আর নৌকার প্রার্থীদের কোণঠাসা করে চরমভাবে পরাজিত করেছেন। এছাড়াও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালিন সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও বর্তমান প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈচিংকে লাঞ্চিত করেছিলেন এমপি বদি। এছাড়াও দলের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য এমপি বদির এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে দায়ী করেন কেন্দ্রীয় অনেক নেতা ও দলীয় সাংসদ এবং প্রতিমন্ত্রী-মন্ত্রীরাও।

এমপি বদির মত মাফিয়ার বিরুদ্ধে ভয়ে যেখানে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও মুখ খোলে না সেখানে তার দল ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে (হাল সময়ের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম) ও পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন ইশতিয়াক আহমদ জয়। টাকা, হুমকি-ধমকিসহ বিভিন্নভাবে নিবৃত করার চেষ্টা করলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ট প্রতিবাদ থামেনি ইশতিয়াক আহমদ জয়ের। তার এই সাহসী ভূমিকা জেলা পর্যায় ছাড়িয়ে নজর কেড়েছে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারনী পর্যায়েও। স্থানীয়ভাবে তো আছেনই। কারণ প্রতিটি অভিভাবক সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কার জন্য এমপি বদিকে দায়ী করেন। কারণ একমাত্র বদির কারণেই এদেশে মরণনেশা ইয়াবা ঢুকছে। আর যুব সমাজ বিফলে যাচ্ছে।

অনেক নেতার দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে যেকোনো নেতার চেয়ে ইশতিয়াক আহমদ জয়ের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়েছে। একদিকে যেমন ছুটেন ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্যে; তেমনই ছুটেন সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে।

ইশতিয়াক আহমদ জয়কে দিয়ে সমীকরণ মিলাতে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দুইজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ কক্সবাজার-৩ আসনটি পাচ্ছে না। যদিও গেল নির্বাচনে ভোটবিহীন নির্বাচনে এমপি হওয়ার সৌভাগ্য হয় সাইমুম সরওয়ার কমলের। কিন্তু কক্সবাজারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো এগিয়ে নিয়ে নিতে আগামি নির্বাচনে এই আসন থেকে দলীয় প্রার্থীকে অবশ্যই বিজয়ী হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে ভিন্নপথে হাটতে হবে। এক্ষেত্রে ইশতিয়াক আহমদ জয়কে নৌকার প্রার্থী হিসাবে তারা এগিয়ে রাখছেন।

এই দুই নেতা বলেন, সদর-রামু আসনটি (কক্সবাজার-৩) বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে চিহ্নিত। অতীতে বার বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও বিএনপির কাছ থেকে আসনটি নিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। আগামি নির্বাচনেও যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে; তাই খুব সাবধানে এগুতে হবে আওয়ামী লীগকে।

এই আসনে বিএনপির প্রার্থী কম শক্তিশালী নয়। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের কাছে নৌকার প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে। বলতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতেই পারেনি। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিল বর্তমান সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক পেয়েছিল কানিজ ফাতেমা আহমেদ নামে এক নারী। যদিও একটি আইনি জটিলতায় তিনি প্রার্থী হতে পারেননি। সেই সুযোগে কেন্দ্রীয় এক নেতার যোগসাজসে ফের নৌকার মনোয়ন পায় সাইমুম সরওয়ার কমল। আর ভোটবিহীন সাংসদ নির্বাচিত হয়। কিন্তু এবার যেহেতু বিএনপি থেকে লুৎফুর রহমান কাজল সাংসদ প্রার্থী হচ্ছেন তাই আবারো সাইমুম সরওয়ার কমলকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিলে নৌকার চরম ভরাডুবি হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদের এক নেতা জানান, সাইমুম সরওয়ার কমল গত পাঁচ বছরে নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন বা দলের জন্য কিছুই করতে পারেনি বরং গেল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কিছু প্রার্থী দাঁড় করিয়ে নৌকাকে চরমভাবে ডুবিয়েছেন। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন এমপি কমলের কাছে তারা নানাভাবে বঞ্চনা ও তিরস্কারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ তার।

সদর ও রামু উপজেলার সিংহভাগ দলীয় নেতাকর্মী এখন এমপি কমলের বিরুদ্ধে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিলে যার প্রমাণ মিলবে। সদর উপজেলার গুটি কয়েক নেতা লোভে পড়ে তার পক্ষ নিলেও প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কমলের দলবিরোধী ও আত্মকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারেন না। আর রামুর পুরো উপজেলা এবং ১১টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি সম্পূর্ণভাবে তার বিরুদ্ধে। তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে এমপি কমলের কাছে ভুক্তভোগি। অনেক ত্যাগী নেতা মুখ খুলতে না পেরে নিরবে নিবৃতে সহ্য করে যাচ্ছে।

এছাড়াও পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এমপি কমলের আপন বড় ভাই রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং আপন বোন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরিও তার বিরুদ্ধে। এই দ্বন্দ্বের বড় ধরণের প্রভাব পড়বে আগামি জাতীয় নির্বাচনে। যেহেতু কাজল ও কাবেরির জনপ্রিয়তাও কম নয়। সুতরাং কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়ের কোনো বিকল্প নেই।

ঈদগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি নুরুল আলম বলেন, তরুণ হিসাবে ইশতিয়াকের মত জনপ্রিয় ছাত্রনেতা অতীতে কাউকে দেখিনি। দল থেকে যদি তাকে নৌকায় মনোনয়ন দেওয়া হয়; তাহলে মাঠেও ভালো করবে।

ঈদগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাঙালী বলেন, গেল ইউপি নির্বাচনে নৌকা থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে ফিরোজ আহমদ ভুট্টু নামে এক ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। শুরু থেকেই ভুট্টু সাধারণ মানুষের কাছে বলে বেড়াত তিনি নাকি এমপি কমলের প্রার্থী। নানা কায়দা করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নেয় ওই ভুট্টু। পরে ফিরোজ আহমদ ভুট্টুর বিজয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমপি কমল প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ভুট্টু এমপি কমলের অত্যন্ত আস্তাভাজন হিসাবে পরিচিত সকলের কাছে। ঈদগড়ের মত রামু উপজেলার প্রায় ইউনিয়নে নৌকার বিরুদ্ধে দলের প্রার্থী ছিল।

জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এমপি কমল সম্পর্কে গোয়েন্দা ও দলীয় রিপোর্ট মোটেও ভালো নয়। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রশ্রয় এবং তাদেরকে দিয়ে দলের প্রবীণ নেতাদের হেনস্থা করার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে ব্যাঘাত সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গাদের ভোটার ও পাসপোর্ট করতে সুপারিশসহ নানা অভিযোগ রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। যেসব রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছেছে।

ভারুয়াখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। কিন্তু ইশতিয়াক আহমদ জয় সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে সৃজনশীল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। টেন্ডারবাজি, দখলবাজি থেকে দূরে রেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে ও নেতৃত্ব তৈরি করতে নিয়মিত বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে শিক্ষার জন্য সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতা, তৃণমূল ছাত্রলীগ কর্মশালা, চিত্র প্রদর্শনীর মত কর্মসূচি স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কাড়ে।

তিনি বলেন, ইশতিয়াক আহমদ জয় সভাপতি হওয়ার আগেও তিনি ছাত্রলীগ করেছেন। তবে জয়ের মত সৃজনশীল ও জনপ্রিয় একজন ছাত্রনেতা অতীতে দেখেননি তিনি। বিশেষ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছাড়াও যেকোনো ছাত্রদের দুঃসময়ে জয়ের ছুটে যাওয়ার বিষয়টি তার কাছে অন্যান্য আদর্শের বলে দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, ছাত্রদের সুযোগ সুবিধা ও অধিকার আদায়ের জন্য সব সময় সোচ্চার ছাত্রলীগ সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন উচ্চবিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনে অন্যন্য ভূমিকা রেখেছেন ছাত্রলীগ নেতা জয়। এছাড়াও সকল ছাত্রদের এক কাতারে এনে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলে কক্সবাজার সরকারি কলেজে প্রিলি মাস্টার্স কোর্স চালুসহ নানা সমস্যা সমাধান করেছেন। এধরণের আরও মহৎ উদ্যোগ ও আন্দোলনের জন্য ইশতিয়াক আহমদ জয় এখন ছাত্র সমাজের কাছে অত্যন্ত প্রিয়মুখ।

শুধুমাত্র ছাত্রদের অধিকার আদায়ে নয়; আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের যেকোনো বিপদে ছুটে যান ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক। এ কারণে দল ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের কাছেও অধিক জনপ্রিয় তিনি। তাই দলের বাইরে সাধারণ মানুষও তাকে সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ আসন থেকে তরুণ এমপি হিসাবে দেখতে চায়।

খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, এখন সবখানে তরুণদের জয়জয়কার। তরুণদের মধ্যে কর্মস্পৃহা বেশি থাকে। তাই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুত এগিয়ে নিতে হলে তরুণদের বিকল্প নেই। সেই হিসাবে ইশতিয়াক আহমদ জয়কে ‘নৌকা’ প্রতীকে মনোনয়ন দিলে দলের সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসাবে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা যে যার মত মাঠে চষে বেড়াচ্ছে। এরমধ্যে নৌকা প্রতীক পেতে দৌড়ঝাঁপে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনিন সরওয়ার কাবেরি ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়। এর মধ্যে তরুণ ও জনপ্রিয় হিসাবে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে ছাত্রলীগ সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগামিতে তারুণ্য নির্ভর সংসদ গঠিত হবে। এ কারণে আগামি জাতীয় নির্বাচনে সারাদেশে ক্লিন ইমেজের তরুণ জনপ্রিয় নেতাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে দল।

তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ আসন থেকে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমদ জয়ের মনোনয়নের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সুনজরে রয়েছে। তাঁর বিষয়ে স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয় বলেন, ছাত্রলীগের প্রধান উদ্দেশ্য আগামি জাতীয় নির্বাচনে কক্সবাজার থেকে চারটি আসন দলকে উপহার দেওয়া। সেই লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করবো। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত দলের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তেমন কিছু ভাবিনি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যখন যেভাবে চাইবে আমি সেখানে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।