বিশেষ প্রতিনিধি:, ঈদগাঁও
বিগত বন্যায় ঢলের পানিতে ভেঙ্গে যাওয়া ঈদগাঁও নদীর বেড়িবাঁধ (জালালাবাদ অংশের রাবার ড্যামের অদূরবর্তী পয়েন্ট) নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ বুধবার সকালে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের ভাঙ্গা অংশে মাটি ফেলে বাধ পুণঃনির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এসময় ইউপি সদস্য সাইফুল হক, সেলিম উল্লাহ, শফিকুল ইসলাম, আবছার কামাল, আবদুর রহিম, ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল রাশেদ বলেন, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরী মেরামতের আওতায় জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন মেরামতের জন্য প্রকল্প এলাকায় ইতিমধ্যে স্তপ করে রাখা হয়েছে ১৫ হাজার বস্তা, ২শ পিস্ বল্লী, ৬শ পিস্ বাঁশ এবং ৪টি বালি উত্তোলনের মেশিনসহ নির্মণ সহায়ক অন্যান্য সরঞ্জাম।

চলতি মাসের ভয়াবহ বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে পানির অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে রাবার ড্যামের অদূরবর্তী স্থানে বেড়িবাধের বিশাল একটি অংশ ভেঙ্গে যায়। বাধভাঙ্গা পানির প্রবল স্রোতে একই সাথে ভেঙ্গে যায় ঈদগাঁও ফরাজীপাড়া পোকখালী সড়কের রাবার ড্যাম ব্রীজ সংলগ্ন পয়েন্ট ও পূর্ব লরাবাক হাফেজখানা পয়েন্টও। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঈদগাঁও’র সাথে ফরাজীপাড়া এবং পোকখালীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যার পানি চলাচলের কারণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে, পুরো সড়ক। প্লাবিত হয়ে পড়ে ইউনিয়নটির প্রায় সবকটি গ্রাম। ৩ দিন ধরে পানিবন্দী থাকে পুরো ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। বর্তমানে মূল সড়কের ভাঙ্গন অংশে বাঁশ দিয়ে তৈরী করা ২টি সাঁকোর উপর দিয়ে এলাকার লোকজন পারাপার হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে ছোট শিশু ও নারীরা চরমভাবে আতংকিত হচ্ছে বলে জানাল ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তাজনোভা।

এদিকে বন্যায় বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়নটির ভাঙ্গা বেড়িবাধ ও রাস্তাঘাট পরিদর্শণ করে গেছেন, রামু কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, কউক চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক আলী হোছেন, কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়ও বিপুলভাবে প্রচারিত হয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দুঃখ দূর্দশার চিত্র এবং ভাংগনের ক্ষতচিহ্ন। এক প্রশ্নের উত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল রাশেদ জানান, জনদূর্ভোগ কমাতে বেড়িবাধের ভাঙ্গন মেরামত শেষ হলে মুল সড়কের ভাঙ্গা পয়েন্টগুলোও মেরামত করা হবে এবং শ্রীঘ্রই ঈদগাঁও’র সাথে ফরাজীপাড়া ও পোকখালীর যোগাযোগ ব্যবস্থা পূণঃপ্রতিষ্টার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান।