সিবিএন ডেস্ক:
এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী।

তার ছোট ছেলে মওলানা মোহাম্মদ আনাছ সোমবার বলেন, “আব্বা এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে আজ তাকে হাটহাজারী নিয়ে যাব আমরা।”

৯৫ বছর বয়সী শফীকে বিকালে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

শারীরিক দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১৮ মে থেকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আহমদ শফী।

প্রায় ১৫ দিন সেখানে চিকিৎসার পর পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গত ৬ জুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে।

সেখানে মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সরওয়ারে আলম এবং নিউরোলজির অধ্যাপক নূরুল হুদার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন তিনি।

বর্তমানে হেফাজত আমির স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন বলে তার ছেলে মোহাম্মদ আনাছ জানিয়েছেন।

আহমদ শফীকে গত ৬ জুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়া হয়

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কওমি মাদ্রাসা দারুল উলুম মইনুল ইসলাম-এর মহাপরিচালক শফী তার ঘরানার মানুষের কাছে যেমন শ্রদ্ধেয়, তেমনি নারীবিরোধী নানা বক্তব্যের কারণে অন্য মহলে বিতর্কিত।
তার নেতৃত্বাধীন সংগঠন হেফাজতে ইসলাম চার বছর আগে ঢাকার মতিঝিলে সমাবেশ থেকে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে আলোচনায় আসে।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের বিরুদ্ধে মাঠে নামা সংগঠনটি ওই বছরের ৫ মে ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তি ও নারীনীতি বাতিলসহ ‘বিতর্কিত’ ১৩ দফা দাবিতে মতিঝিলে সমাবেশ ডাকে। সেই সমাবেশ থেকে আশপাশের এলাকাসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়, সংঘাতে নিহত হন বেশ কয়েকজন।

সুপ্রিম কোর্টের সামনে রোমান ‍যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’ আদলে স্থাপিত ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে ফের মতিঝিলের মত সমাবেশের হুমকি দিয়ে সম্প্রতি আবার আলোচনায় আসে হেফাজত।

গত মাসে গণভবনে কওমী মাদ্রসাগুলার শীর্ষ প্রতিনিধি এবং শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে বলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান ঘোষণা করেন।