সিবিএন ডেস্ক:

মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল কালামকে অন্যত্র বদলীর জন্য যে সরকারি আদেশ হয়েছিল- তা চূড়ান্ত ভাবে প্রত্যহার করে নিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণানালয়।

গত ১৮ জুন তাঁকে রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায় বদলীর অাদেশ প্রদান করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ৷

একটি বিশেষ মুহুর্তে এ অর্ডার করা হয়েছিল ৷ বিশেষত সে সময়ে পাহাড় ধসে কাউখালীতে ২১ জন লোক নিহত হয় ৷ তার কিছুদিন পূর্ব থেকেই কাউখালীতে ইউএনও পদ শূন্য ছিল ৷ রাঙামাটি সদরের ইউএনও সুমনি অাক্তার কাউখালী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন ৷ কিন্তু পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনিও কাউখালীতে অাসতে পারছিলেন না ৷ ফলে এ দুর্যোগপ্রবণ সময়ে জরুরী ভিত্তিতে তার পর দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখই মোহাম্মদ অাবুল কালামকে কাউখালীতে যোগদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয় ৷ অন্যদিকে মহেশখালীও তখন ঘূর্ণিঝড় ”মোরা”র অাঘাতে বিপর্যস্ত ৷ মহেশখালীর ৫৩ জন নিখোঁজ জেলে পরিবারের কাছে তাকে প্রায় নিয়মিত সরকারি, ব্যক্তি পর্যায় কিংবা এনজিওর ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে হচ্ছিল ৷ তার উপর এ সময় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের শেষ সময় বলে সকল কার্যক্রম শেষ করার দাপ্তরিক দায়বদ্ধতাও ছিলো তার উপর ৷ এ ছাড়া ঈদ উল ফিতরের সময়ও একদম সমাগত ৷

এসব বিষয় বিবচনা করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বদলীর এ অাদেশ পূণর্বিবেচনার জন্য চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার অনুরোধ করেন ৷

এছাড়া কক্সবাজার-২ অাসনের সদস্য অালহাজ্ব অাশেক উল্লাহ রফিক এবং মহেশখালী পৌরসভার মেয়র অালহাজ্ব মসছুদ মিয়াও এ অাদেশ পূণর্বিবেচনার জন্য যথাস্থানে সুপারিশ করেন বলে সূত্রে প্রকাশ৷

পরবর্তিতে গত ৬ জুলাই চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ অাবুল কালাম এর বদলীর অাদেশ বাতিল করেন ৷

এদিকে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ অাবুল কালাম এক প্রতিক্রিয়ায় “এমপি মহোদয়, জেলা প্রশাসক মহোদয়, সাংবাদিক সমাজসহ সকল শুভাকাঙ্খীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি তিনি মহেশখালীবাসির প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন ৷

বাংলাদেশের উন্নয়নের মডেল উপজেলা ডিজিটাল অাইল্যান্ড মহেশখালীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন ৷

প্রসঙ্গতঃ প্রশাসনের একজন তরুণ কর্মকর্তা হিসেবে মহেশখালীতে যোগদানের পর থেকে তিনি কর্মক্ষেত্রে বেশ দক্ষতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সরাসরি তদারকি হওয়া একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পসহ বহু উন্নয়ন কাজ হচ্ছে এই মহেশখালী দ্বীপে। এসব বিষয়ে তিনি সরকারের সংশ্লিদের কাছে বেশ প্রশংসা পেয়েছেন। মহেশখালীতে দায়িত্বপালনকালে তাঁকে একাধিকবার রাষ্ট্রিয় ভাবে বিদেশ সফর করানো হয়। কর্মক্ষেত্রে আগামীতেও এই সাফল্য ধরে রাখার জন্য তিনি সকলের দোয়া কামনা করেছেন।