হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনে সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। টেকনাফ স্থলবন্দর প্রতিষ্টার দীর্ঘ ২২ বছরের ইতিহাসে এটি স্থল বন্দরের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় বলে জানা গেছে।

টেকনাফ শুল্ক ষ্টেশন সূত্র জানান ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য চালু করা হয়। প্রথম অর্থ বছরের রাজস্ব আয় হয়েছিল মাত্র ৭৯ লাখ ৯৮হাজার ১১৬ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক এ স্থল শুল্ক স্টেশনকে ৭২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। টেকনাফ কাস্টমস উক্ত নিদের্শনাকে লক্ষ্য করে কাস্টমস খাতে ৯৩ কোটি ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ও আয়করসহ অন্যান্য খাতে ২১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার রাজস্ব আয় করেন। সব মিলে সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সর্বমোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ কোটি ২৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা বেশী। গত বছর ২০১৫-১৬ অর্থবছরের রাজস্ব আয় হয়েছিল ৭১ কোটি ২৯ লাখ ৫ হাজার। এর আগে আদায় হয়েছিল ২০১০-১১ অর্থবছরের ৯০ কোটি ৩৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের ব্যাপারে টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক কর্মকর্তা এএসএম মোশারফ হোসেন বলেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মহোদয়ের বিচক্ষণ দিক-নির্দেশনা ও জবাবদিহিতা, স্থানীয় প্রশাসন (বিজিবি), আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় সম্ভব হয়েছে। স্থলবন্দর প্রতিষ্টার দীর্ঘ ২২ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়।

এএসএম মোশারফ হোসেন বলেন, বন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো দ্রুত মেরামত করা হলে আগামী অর্থবছরেও আরও বেশি রাজস্ব আয় সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।