নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজার

নাইক্ষংছড়ি-কচ্ছপিয়া-দুছড়ি সংযোগ সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এতেকরে এখানকার বাসিন্দারা মহাটেনশনে রয়েছে। তারা দ্রুত সংযোগ সড়কের সংস্কার চায়।

সিুত্র জানায়, নাইক্ষংছড়ি-কচ্ছপিয়া-দু’ছড়ি সংযোগ সড়ক দিয়ে অন্তত দশ হাজার মানুষের যাতায়াত। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের একটি ব্যবসায়ীক, উৎপাদন ও রাজস্বখাতের এলাকা হলো দুছড়ি গ্রাম। সড়কের শেষ ভাগে উল্লেখযোগ্য রাজস্বখাত ইউনিয়ন হিসেবে অবস্থিত পার্বত্য এলাকার দুছড়ি ইউনিয়ন। যেখানে সীমান্ত রক্ষায় একটি বিজিবি ক্যাম্প সহ ৭/৮টি ফাঁড়ির অবস্থান। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের অফিস সহ অসংখ্য স্কুল। রাজস্ব আদায়ের অনেক খাতে সমৃদ্ধ। যার ফলে এই সীমান্ত সড়কটি হয়ে উঠে অত্যন্ত ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে পার্বত্য এলাকার মানুষের দূর্ভোগ শংকায় প্রথমে ছুটে যান নাইক্ষংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা ভাংগনের ভয়াবহতা সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ে জানান, এবং এই ভাংগন চিত্র নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি শুরু হলে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার দুই জেলা প্রশাসক এবং বিজিবির বিভাগীয় কর্মকর্তা পরিদর্শনে আসেন ভাঙ্গন স্থানে।সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এই ভাংগনের ভয়াবহতা অবলোকনে জনদুর্ভোগ লাগবে দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। এর মাস খানেকের মধ্যে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বল্লিস্পার দিয়ে মাটি ভরাট করে মেরামতে ক্ষনিকের দূর্ভোগ লাগব হলেও তা স্থায়ী রূপ দিতে দেয়নি নদীর রাহুগ্রাসে। এই সীমান্ত সড়কের ভাঙ্গনকৃত অংশে পরিকল্পিত ও স্থায়ী প্রটেকশন না হওয়ায় গেল বছর আবার রাক্ষুষে নদীর কবলে পড়ে সড়কটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংযোগ সড়কের ভাঙ্গন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। অতি বর্ষণের ফলে বৃহস্পতিবার ভোরে অনেকটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ব্যস্ততম সড়কটি। সড়কটির ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্তা না নিলে পুরো এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশংকা স্থানীয়দের। তবে, স্থানীয়দের উদ্যোগে গাড়ি চলাচলে সড়কে দেওয়া হয় সাকু।

এলাকাবাসী জানায়, বিকল্প ব্যবস্থা অথবা সংযোগ ঠিক করা না হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। দূর্ভোগে পড়বে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রী। অরক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা সীমান্তের।

কচ্ছপিয়া নাগরিক সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জানান রেজাউল করিম টিপু জানান, এই ভাঙ্গন এর আগেও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এখনো জানানো হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে।

তিনি জানান, রামু উপজেলা আর নাইক্ষংছড়ি উপজেলার যৌত পরিকল্পনায় স্থায়ী ব্যবস্থা নিলে ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি রক্ষিত হবে।

স্থানীয় মেম্বার জয়নাল আবেদীন জানান, এইটাতে আপাতত প্রটেকশন এর চিন্তা ভাবনা চলছে। গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সড়কটির ভাংগন অংশ মেরামত করার জন্যে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের রূপকার প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ও রামু-কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।