সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী জলদাশ পাড়া এলজিইডি সড়ক ভারী বর্ষণে চুইন্নাবরটেক সংরলগ্ন অংশ পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ গ্রামের ৪ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করছে। সড়কটি এলাকাবাসীর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঐ অংশে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি এলাকার ৪ হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম জলদাশপাড়া সড়ক। তাছাড়া সড়কটি ‘মহেশখালী-মেদাখাল সংযোগ সড়ক’ হিসাবেও পরিচিত। গত ৫ জুলাই ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে এটি পানিতে বিলীন হয়ে যায়। এখনো সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই এলাকার ৪ হাজার মানুষ জীবন ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত পথ চলছে।

ইউপি সদস্য ওয়াশিম আকরাম জানান, গত মঙলবার টানা বর্ষণে সড়কটির ৫০ ফুট অংশ বিলীন হয়ে যায়। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিয়মিত।

সরেজমিন বৃহষপতিবার ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড তথা চেয়ারম্যান পাড়া সিকদার পাড়া, কাঠালিয়া পাহাড়, কাচারি পাহাড়, গুরুস্থান পাহাড়, খাসঘোনা, কচিকাটা, লুইঘোনা, গরুলুটা পাড়াসহ প্রায় ১০ গ্রামের ৪ হাজার মানুষের একমাত্র চলাচল রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় জনদূর্ভোগ বাড়ছে। অন্যদিকে পশ্চিম বিল রন্জু ঘোনার প্রায় সাড়ে ৪শ কানি ধানি জমির চলিত মৌসুমের চাষ ভেস্তে গেছে। তলিয়ে গেছে ৪টি চিংড়ি ঘের। ক্ষয়ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে অনেক বাড়ি-ঘর পানিবন্দি রয়েছে। রয়েছে এসব গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নাজেম উদ্দিন হেলালী জানান, রাস্তাটি এলাকার জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রতি বছর বর্ষা এলেই এটি পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে যায়। জনস্বার্থ বিবেচনায় সড়কটি দ্রুত সংস্কারে কক্সবাজার এলজিইডির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এদিকে বিলীন হওয়া সড়কটি পরিদর্শন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান। পরিদর্শনকালে তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা সড়কটি সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রত কাজ শুরু হবে।