এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও:

দু’দফা বন্যার পানির ক্ষত শুকানোর চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের মালামালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এদিকে কয়েক দিন ধরে ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে জেলা সদরের গুরুত্ববহ বানিজ্যিক উপ শহর ঈদগাঁও বাজার সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নের উপবাজার সমূহে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছিলো প্রধান সড়ক সহ অলিগলি এবং বহু দোকানপাঠ।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬ জুলাই সকাল থেকে রোদ্র দেখা দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশার পরিবর্তে এবার একটু হলেও আশার আলো খুঁজে পেয়েছে। ভোর সকাল বেলা থেকে দক্ষিণ চট্টলার বৃহৎ বানিজ্যিক নগরী পুরো ঈদগাঁও বাজারের অলিগলিতে ব্যবসায়ীরা স্ব স্ব ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে দু’দফা বন্যায় প্লাবিত হওয়া দোকানপাঠে জমে থাকা পানি আর কর্দমাক্ত পরিস্কার করতে দেখা যায়। সে সাথে ক্ষত শুকানোর চেষ্টায় ফের ব্যস্ত হয়ে ঈদগাঁওর বিভিন্ন পেশার ব্যবসায়ীরা। এদিকে গেলো রাতে ঢলের পানি দোকানে প্রবেশ করায় চাউল বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা চরম ভাবে বিপাকে পড়ে। একই ভাবে বিভিন্ন অলিগলি ব্যবসায়ীরাও ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে মহা টেনশনে রয়েছে। সবমিলিয়ে পুরো বাজার এলাকায় ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মালামালের।
ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদগাঁও বাজারে পানি চলাচলের সুষ্টু ড্রেনেস ব্যবসা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে বাজারবাসী। এদিকে বাজারের প্রধান ডিসি সড়ক উঁচু হওয়ায় অলিগলিতে নিচু হয়ে যাওয়া একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাল হয়ে দাড়ালো এ বন্যার পানি। সম্প্রতি ঈদগাঁও বাজারে দু’দফায় বন্যায় ঈদগাঁও বাজারের প্রধান ডিসি সড়ক সহ অলিগলি প্লাবিত হয়ে পড়েছিলো। এমনকি এসব অলিগলিতে হাঁটু পরিমাণ পানিতে সয়লাব ছিলো। পাশাপাশি ডিসি সড়ক জুড়েই ঢলের পানির কারণে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, কর্মজীবিসহ সর্বশ্রেণি পেশার মানুষজন চলাচলে নিদারুন কষ্ট পোহাচ্ছে।
এদিকে বন্যার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যানবাহন চলাচলে কঠিন হলেও তবে দ্বিগুন ভাড়া বানিজ্য থেমে নেই।
দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারের প্রধান চলাচলের সড়ক ছাড়াও তরিতরকারী ও মাছ বাজার, জুয়েলারী সড়ক, চাউল বাজার সড়ক, হাসপাতাল সড়ক, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মসজিদ সড়ক, বাজারের পশ্চিম গলি, সুপারী গলি, জাগির পাড়া সড়ক, বাঁশঘাটা সড়ক জুড়েই ঢলের পানিতে প্লাবিত ছিলো। তবে একটু একটু পানি নিচে নেমে যাওয়ার ফলে লোকজন চলাফেরা করতে পারছে মোটামুটি ভাবে। সে সাথে অনেক ব্যবসায়ী ঢলের পানি থেকে মুক্তি পেতে বালির বস্তা, ইট আর সিমেন্ট দিয়ে দেওয়াল নির্মাণসহ কাঠ দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করেও কোন ভাবেই সম্ভব হয়নি।