বিশেষ প্রতিনিধি
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কক্সবাজারের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। প্রথমে তিনি চকরিয়ার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন সুরাজপুর-মানিকপুরে ৮ কিলোমিটার পানিতে নিমজ্জিত এলাকা পার হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. আমজাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, দৈনিক বাঁকখালী সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য এ টি এম জিয়া উদ্দিন কোম্পানী, আমিনুর রশিদ দুলাল, মিজানুর রহমান, উম্মে কুলছুম মিনু, নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিমুল হক চেয়ারম্যান, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা শাহাব উদ্দিন, সুরাজপুর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কাজল।
চকরিয়া মাতামুহুরী নদীর অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ী ঢলের তীব্রতায় চকরিয়ার সম্পূর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ, দুর্দশা স্বচোখে দেখার জন্য কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা মুজিবুর রহমারের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের একটি ত্রাণ দল চকরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত, দুর্গত সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন। বন্যার পানির স্রোত অতিক্রম করে তিনি বন্যা কবলিত মানুষের সাথে কথা বলেন তিনি বন্যার ভয়াবহতা দেখে ও মানুষের কষ্ট, দুঃখ দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দলীয় নেতাকর্মীদের এই দুঃসময়ে যে কোন মূল্যে তাদের পক্ষে দাড়াতে অনুরোধ করেন। মাতামুহুরী নদী বৈষ্টিত সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে বন্যা কবলিত মানুষের হাতে চাউল ও শুকনা খাবার বিতরণ করেন এবং বন্যার্থ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বাঙ্গালি জাতি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেল করে এগিয়ে চলতে জানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। মুজিবুর রহমান বলেন যতক্ষণ বন্যা পরিস্থিতি থাকবে প্রতিটা পরিবার সরকারের সাহায্য পেতে থাকবে। এই বন্যা পরিচিতির কথা উল্লেখ করে বলেন রাজনীতির নামে কিছু দুবৃত্ত চলমান বলে ও নদী দখল ও চলমান প্রবাহমান নদীতে অবৈধ ভাবে বাঁধ দেওয়ায় জনজীবনে এই দূর্ভোগ নেমে এসেছে। তিনি অনতিবিলম্বে মাতামুহুরী নদীতে ড্রেজিং করে নদী খনন করার আশ্বাস দেন এবং প্রশাসনের কাছে প্রবাহমান নদীর সকল অবৈধ বাঁধ অপসারণের দাবী জানান।