শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,কক্সবাজার :

টানা প্রবল বর্ষণের কারণে মাতামুহুরীর নদীর পানি উপচে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পৌসভার ৯নং ওয়ার্ড এবং সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, বরইতলী, হারবাং, কোনখালী, ঢেমুশিয়া, খুটাখালী, ডুলাহাজারা, সাহারবিল পুরোসহ ১৭ ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্তত তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চকরিয়া উপজেলা মিলনায়তন (মোহনায়) বুধবার জরুরী ত্রাণ বরাদ্দের জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম, নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদুল ইসলাম সহ সকল জনপ্রতিনিধির সমন্বয় সভায় ইউনিয়ন ভিত্তিক জরুরী ত্রান বরাদ্দের জন্য সভায় প্রস্তাব গৃহীত হয়্।

চকরিয়ায় ১৮ টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ড বন্যার পানিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। ধনী-গরীব সকল শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ চরমে। সকলে মিলে আসুন, আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, সামর্থ্যানুযায়ী সহযোগীতার হাত বাড়াই- এ উক্তি করেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু।

এর আগে, বুধবার সকালে জেলার সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা চকরিয়া সুরাজপুর- মানিকপুর ইউনিয়নের বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, সহ-সভাপতি এড. আমজাদ হোসেন,সহ-সভাপতি রেজাউল করিম,এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, আমিনুর রশীদ দুলাল, মিজানুর রহমান, উম্মে কুলসুম মিনু, দৈনিক বাকঁখালী সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক কমিশনার ফজলুল করিম সাঈদী, স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, সাবুউদ্দিন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন, ‘চকরিয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত প্রকট আকার ধারণ করেছে। রামুতেও পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। সব স্থানের বন্যা কবলিত মানুষকে সহযোগিতা করা হবে। এরই মধ্যে চকরিয়ার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অন্যান্য এলাকার জন্যও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বুধবার জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে।’