হারুনর রশিদ, মহেশখালী
প্রবল বর্ষণে মহেশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে কাঁচা বাড়ীঘর ও ফসলি জমি। টানা ৪দিনের ভারী বর্ষণে মহেশখালী উপজেলার পৌরসভাসহ ৮ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
হোয়ানক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম এর বাড়ীতে পাহাড়ী ঢলের পানি ডুকে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সাবেক এই চেয়ারম্যান জানান-হোয়ানকের বড় ছড়ার উত্তর পাশে যে গাইড ওয়ালটি নির্মাণ করা হয়েছে; তা নিচু হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের পানি দেওয়াল গড়িয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ; এতে পানি বন্ধি হয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি পরিবার। স্থানীয়রা জানান গাইড ওয়ালটি আরো উচ্চু করে দিলে, পাহাড়ি ঢলের পানি থেকে রক্ষাপাবে বেশ কয়েকটি পরিবার।
কালামারছড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ইকবাল চৌধুরী জানান মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকার আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি বসতবাড়ীর দেওয়া ধ্বসে পড়ে। কোন প্রাণ হানির ঘটনা না ঘটলেও মানবেতর জীবন যাপন করছে ওই পরিবারটি। এছাড়াও কাঁচা রাস্তঘাট ভেঙ্গেগেছে।
ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের বিশিষ্টা ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক জমির উদ্দীন জানান- ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের আহমদিয়া কাটা এলাকায় বেশ কয়েকটি পরিবার পানিবন্ধি হয়েপড়েছে। এছাড়াও কাঁচা রাস্তঘাট ভেঙ্গেগেছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম ছমি উদ্দীন জানান মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মগড়েইল, ফুলজান মোরা, রাজঘাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়।
পৌরসভার ঘোনারপাড়া এলাকার বশিরের বাড়ী সহ বেশ কয়েকটি বাড়ী পানিবন্ধি হয়েপড়েছে।
ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান- প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ধলঘাটার কয়েকটি গ্রামের সড়কের উপর পানি ওঠে চলাচল অনোপযোগী হয়েপড়েছে।
বর্ষার মৌসুমের ধানের বীজতলা,পানের বরজ এর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিল এর পান বরজ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।