বার্তা পরিবেশক :

গত ৪জুলাই দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশ,আমাদের কক্সবাজার,কক্সবাজার ৭১সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত“ঢাকা-চট্টগ্রামে বসে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে উখিয়া-টেকনাফের ৩শতাধিক গডফাদার” শীর্ষক সংবাদের একাংশ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা ভিত্তিহীন,উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমুলক। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে,প্রফেসর শামসুল আলম গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমার পারিবারিক জমি বিরোধ চলে আসছিল। একদিন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের উপক্রম হলে তিনি দেওয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় হার্টস্ট্রোক করে মারা যান। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির পাশাপাশি ১২টি বসত-বাড়ি ও১টি দোকান লুটপাট করা হয়। ঐ হত্যা মামলা দায়েরের ৪/৫ বছর আগ হতে কক্সবাজার পিটি স্কুল সংলগ্ন মোঃ জামাল উদ্দিনের বিল্ডিং নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলাম। প্রফেসর শামসু হত্যা মামলা দায়েরের পর আমি পালিয়ে যায়। অবশেষে উক্ত মামলায় আটক হলে আমি মহিউদ্দিন ৮মাস হাজত বাস করার পর ৪/৫মাস আগে জামিনে মুক্ত হই। এরপর উক্ত মামলার ১নং আসামী আদালতে আত্নসমর্পণ করে এখনো জেল হাজতে রয়েছে। বর্তমানে আমার পরিবারে আমি বড় তাই জমিজমা দেখা-শুনা এবং কারারুদ্ধ ১নং আসামীর জামিনে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা চালানোয় প্রতিপক্ষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। সংবাদে উল্লেখিত নিহত হাজী মুফিজের সাথে আমার জীবনে দেখা হয়নি এবং  তাকে চিনিওনা। আমি ইয়াবাসহ কোন প্রকার মাদক বাণিজ্যে জড়িত নই। দেশের কোথাও আমার বিরুদ্ধে প্রফেসর শামসু হত্যা মামলাটি ছাড়া মাদক জাতীয় কোন অপরাধের অভিযোগ ও মামলা নেই। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে ব্যর্থ হয়ে সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে ইয়াবা চোরাচালানসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত করে সামাজিকভাবে হেয়পন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি উক্ত বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আগামীতে এই জাতীয় সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিক ভাইদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
মহি উদ্দিন
পিতা-মরহুম মোঃ ইলিয়াছ
খারাংখালী,হোয়াইক্যং, টেকনাফ।