সন্তানদের পড়ালেখার ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ গড়তে সহযোগিতা থাকবে- ড. আনচারুল করিম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় কবলিত হয়ে সাগরের নিখোঁজ ও আহত অবস্থায় ফিরে আসা জেলেদের পরিবারে মাঝে ত্রাণ হিসেবে নগদ অর্থ বিতরণ করেছে ‘চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় পৌরসভার ইলা কমিউনিট সেন্টারে এই ত্রাণ সহায়তার অর্থ বিতরণ করা হয়। এই উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা’র ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইসচেয়ারম্যান, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মহাজোট মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আনচারুল করিম।
মহেশখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জহির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী পৌরসভার সাবেক দু’বারের মেয়র সরওয়ার আজম, আলম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র পূর্ণ চন্দ্র দে, সাংবাদিক ওয়াহিদুর রহমান রুবেল, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম কোম্পানি, সাংবাদিক আমিনুল হক প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আমজাদ হোসেন মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুনর রশিদ, মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিফতাহুল করিম বাবু, মহেশখালী পৌর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাকের আলম, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মাস্টার জামাল, ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহামদ, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি রাজিব দে, ৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নূরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাসির বাপ্পি। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন এবং সর্বস্তরের জনসাধারণ।
অনুষ্ঠানে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্য ও উদ্ধার হওয়া আহত জেলো উপস্থিত ছিলেন। স্বজনেরা নিখোঁজ জেলেদের মৃত্যু ঘোষণা করে মৃত্যু সনদ জারি করার দাবি জানান। তারা বলেছেন, মৃত্যু ঘোষণা না করায় স্বজনেরা এনজিও’র ঋণসহ নানাভাবে সমস্যা ভোগ ও সরকারের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই দাবির প্রেক্ষিতে অতিথিরা তাদের ন্যায্য দাবির কথা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন পর্যায়ে তোলে ধরে সঠিক সমাধানের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে ড. আনচারুল করিম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় মহেশখালীতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ে এখানকার ৫৩ জন মানুষ নিখোঁজ হয়েছে; যা অপূরণীয় ক্ষতি। এইসব মানুষগুলোর পরিবার জীবনের অতল সাগরে চলে গেছে। এই শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তাই তাদেরকে সহযোগিতা ও সমর্মিতা দরকার। এই জায়গা থেকে আমরা আপনাদের কাছে সামান্য সহযোগিতা নিয়ে ছুটে এসেছি। সে ধারাবাহিকতায় আগামীতে আপনাদের পাশে থাকবো।
তিনি নিখোঁজদের পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা নিজেদের কখনো একা মনে করবেন না। আমরা আপনাদের সাথে থাকবো। আপনাদের সমস্যার কথা আমি নেত্রীর কাছে তোলে ধরবো। আপনাদের সন্তানদের পড়ালেখার ব্যবস্থা ও তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য সহযোগিতার জন্য প্রচেষ্টা করে যাবো।’
জানা গেছে, নিখোঁজ ৫৩ জেলে প্রতিবারকে ২ হাজার নগদ টাকা ও উদ্ধার হওয়া আহত ৬৪ জেলের প্রতিজনকে ১ হাজার টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।