রিয়াজুল হাসান খোকন, বাহারছড়া (টেকনাফ)
টেকনাফ বাহারছড়ার শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাজমা আকতার লাকির বিয়ে পন্ড করে দিয়েছে প্রশাসন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমদ ও শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম,এ, মনজুর, বাহাছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাকসুদ আলম, ও টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন।
৩ জুলাই বাহারছড়ার শামলাপুর আচারবনিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী হাজী মনছুর আলমের মেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাজমা আকতার লাকী (১৪) সাথে পার্শবর্তী উখিয়া মনখালী কোনার পাড়া গ্রামের হাজী নুর বসরের ছেলে সৌদি প্রবাসী নুরুল আমিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিস্তু এটি একটি নির্ঘাত বাল্য বিয়ে বিবেচনায় নিয়ে নিজ দায়িত্ব হিসেবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম,এ মনজুর ব্যাপারটি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, টেকনাফ নির্বাহী কর্মকর্তা, টেকনাফ শিক্ষা অফিসার, এবং উখিয়া নির্বাহী অফিসার এবং গণমাধ্যমেকে অভিহিত করে। পরে গণ্যমাধ্যমে এ বিয়ে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা ভাইরাল হয়ে উঠে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশক্রমে এই বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য স্থানীয় শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাকসুদ আলম উক্ত ছাত্রীর মাতা হাসিনা আকতারকে নির্দেশ দেন, কিন্তু তিনি এ নির্দেশ অমান্য করে স্বাভাবিক ভাবে বিয়ের আয়োজন সহ অথিতিদের খাওয়া দাওয়া চালিয়ে যান। পরবর্তীতে আইন অমান্য করে এই বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমদের নেতৃত্বে প্রশাসন উক্ত বাড়িতে গিয়ে আইন রিরুধী এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন এবং হাসিনা আকতার থেকে একটি লিখিত মুছলেকা নেন যে যথাযথ বয়স না হওয়া পর্যন্ত লাকীকে বিয়ে দেবেনা। পরে লাকীকে স্কুল ড্রেস পরিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে শামলাপুর স্কুলে তার ক্লাস রুমে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং সেখানে বাল্য বিয়ের ক্ষতির দিকটি তুলে ধরে শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাকসুম আলম, নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমদ, টেকনাফ শিক্ষা কর্মকর্তা, এবং উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম,এ মনজুর বক্তব্য রাখেন, এবং ছাত্র ছাত্রীদের সতেচন করেন। পরে লাকীর সহপাঠিরা তাকে আগের মত স্কুলে পেয়ে অনেক খুশি হন এবং প্রশাসেনর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এদিকে প্রথম বারের মত শামলাপুরে বাল্য বিয়ে বন্ধ করায় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমদ, শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম,এন মনজুর, ও বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাকসুদ আলমকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন স্থানীয় সতেচন মহল ও শিক্ষিত সমাজ।