বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার টেকনাফের আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজ মেম্বার হত্যার এক বছর পার হলেও গ্রেফতার হয়নি হত্যাকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিমসহ অন্য আসামীরা। এতে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিমের হুমকিতে আতংকে ভুগছেন নিহত সিরাজ মেম্বারের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন। গত বছরের ৪ জুলাই টেকনাফে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে সাবেক ইউপি সদস্য, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মৃত্যুকালীন সদর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মেম্বার (৬৮)কে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে নতুন পল্লন পাড়ার বশির আহমদের ছেলে আজিম উল্লাহর নেতৃত্বে তার ভাইয়েরা ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিমসহ একদল সন্ত্রাসী। এই বিষয়ে নিহতের ছেলে আব্দুল ফারুক বাদী হয়ে মামলা করেন টেকনাফ মডেল থানায়। যার জি আর নং ৩৫০। এজাহারে দেখা যায় হত্যাকারী আজিম উল্লাহর ভাই মোঃ সেলিম, করিম উল্লাহ, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম, একই এলাকার মোঃ ইসমাইলের ছেলে ইসোলো, মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল, জালাল আহমদের ছেলে নুরুল আলম ও জাফর আলমসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করা হয়। মামলায় প্রধান আসামী আজিম উল্লাহ সহ কয়েকজন গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন নুরুল আলম, জাফর আলম ও ইসোলো। আজিম উল্লাহর ভাই মোঃ সেলিম ও করিম উল্লাহকে চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরা জামিনে বেরিয়ে এসে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিমের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদী নিহতের ছেলে ফারুকসহ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। নিহতের ছেলে মামলার বাদী ফারুক বলেন, “রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম পাহাড়ে গা ঢাকা দিলেও প্রতিনিয়ত আমি সহ পরিবারের অন্যান্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আজিম উল্লাহর ভাই ও সহযোগীদের সহায়তায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম পাহাড়ে আত্মগোপন থাকলেও তার প্রতিনিয়ত হুমকিতে আমি সহ পুরা পরিবার ও আত্মীয়স্বজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এখন আমাদের সন্ধ্যার পর বাড়ির বাহিরে থাকতে খুব ভয় করে। প্রতিনিয়ত সংকোচিত মনে চলাফেরা করি। আমি এই বিষয়ে টেকনাফ থানায় একটি জিডিও করি”। ফারুক বলেন, ‘খুব দ্রুত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আমার বাবার অন্যতম হত্যাকারী আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করে আমাদের নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি’। অন্যথায় যেকোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন নিহতের ছেলে মামলার বাদী আব্দুল ফারুক।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাঈন উদ্দিন খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব শিগগির ধরা পড়বে। যারা জামিনে বেরিয়ে আসছে তারাও আমাদের নজরে আছেন। নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা বিষয়ে থানায় জিডি করে থাকলে অবশ্যই নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানান ওসি মোঃ মাঈন উদ্দিন খাঁন।