সোয়েব সাঈদ, রামু:

পরকীয়া প্রেমের জেরে ১৮ মাস বয়সী সন্তান রেখে পালিয়ে গেছে গৃহবধু। ঘটনাটি ঘটেছে রামুর পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি আদর্শ গ্রাম এলাকায়। পালিয়ে যাওয়া গৃহবধু মুসলিমা আকতার (২০) ওই এলাকার খোরশেদ আলমের স্ত্রী।

পালিয়ে যাওয়া গৃহবধুর স্বামী খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে তিনি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী হাজ্বীপাড়া এলাকার ছৈয়দ আকবরের মেয়ে মুসলিমা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও ইতিপূর্বে আরো একবার মুসলিমা আকতার পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে সন্তান থাকায় শালিসের মাধ্যমে তারা ফের সংসার শুরু করেন। কিন্তু বিভিন্নভাবে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। এরই জেরে গত ২৫ জুন দিবাগত রাত একটার দিয়ে বাড়ির সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়লে ১৮ মাসের সন্তান মো. নুর হজ্ব বাবুকে বিছানায় রেখে পালিয়ে যান স্ত্রী তসলিমা আকতার। এসময় সে শ্বাশুড়ির আলমিরা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা, ২ভরি স্বর্ণের অলংকার, ২টি মোবাইল ফোন সেট সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। পরদিন ২৬ জুন খোরশেদ আলম নাইক্ষ্যংছড়ি থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

খোরশেদ আলম আরো জানান, এ ঘটনার পর অজ্ঞাত মোবাইল ফোন থেকে কল করে মুসলিমা আকতার ও তার সহযোগিরা বিভিন্নভাবে হুমকী-ধমকি দিতে শুরু করেছে। এমনকি এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে খোরশেদ আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।