বিশেষ সংবাদদাতা:
চকরিয়ায় রাতের আঁধারে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ের ইলিশিয়াস্থ ওয়েস্কা নামক তিন একর বিশিষ্ট একটি মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মৎস্য প্রকল্পে নানা প্রজাতির বেশির ভাগ মাছ মারা যায়। এতে মৎস্য প্রকল্প মালিককের প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সুত্রে গেছে। ৩০জুন ভোর রাত ৩টার দিকে ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইলিশিয়াস্থ ওয়েস্কা মৎস্য প্রকল্পে ঘটেঠে মর্মান্তিক এ ঘটনা।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য প্রকল্পের মালিক মোঃ নবী হোসেন জানান, চলতি বছরে তিনি প্রায় এককোটি টাকার উপরে বিনিয়োগ করে পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ইলিশিয়া জমিদার বাড়ী এলাকার লোকজনের কাছ থেকে ছোট বড় ৫টি পুকুর লাগিয়ত নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছেন। বর্তমানে তার পাঁচটি মৎস্য প্রকল্পে নাইলেটিকা, রুই, কাতলা, গ্লাসকার্প, পাঙ্গাস, মৃগেল ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছেন। তিনি দাবি করেন, ৩০জুন ভোর রাতে একদল দৃর্বৃত্ত পরিকল্পিতভাবে তার তিন একর বিশিষ্ট মৎস্য প্রকল্পের পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটায়। বিষ প্রয়োগের ফলে তার পুকুরের প্রায় আট পিকআপ মাছ মারা গেছে। যার আনুমানিক বাজার মুল্য প্রায় ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) লক্ষ টাকার অধিক। বিষ প্রয়োগে মাছ মারা গিয়ে নষ্ট হওয়ার কারণে তার সবকিছুই তছনছ হয়ে গেছে।

নবী হোসেনের অভিযোগ, পুকুর থেকে তাকে উচ্ছেদ করার জন্যই স্থানীয় ইলিশিয়া জমিদার পাড়া এলাকার আবু তাহেরের পুত্র মানিক ও নুরুল হুদার পুত্র রাশেদসহ কতিপয় দুর্বৃত্তরা আর্থিক ক্ষতিসাধনে এ ঘটনাটি সংগঠিত করেছেন। ঘটনার পূর্বের দিন বিকালে মানিক ও রাশেদকে তার মৎস্য পুকুরের আশ-পাশে কয়েকবার ঘুরাফেরা করতে দেখেন তার ঘের পাহারাদার জহির। ইতোপূর্বেও একই দূর্বৃত্তরা প্রকল্পের মালিক নবী হোসেনকে নানা হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল এবং তিনি কিভাবে মৎম্য চাষ করেন তা দেখে নেবেন বলে ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছের নিধন করবে বলে হুমকি দেন।

মৎস্য প্রকল্পের ঘের কর্মচারী জহিরুল ইসলাম বলেন, ভোর রাত আড়াইটার দিকে মৎস্য প্রকল্পে চতুর্দিক ভাল ভাবে দেখভাল(ঘোরাফেরা)করে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখতে পান পুকুরের সম্পূর্ণ মাছ মরে পানিতে ভাসতে থাকে। তিনি সাথে সাথে ঘের মালিক নবী হোসেনকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুকুরে এসে দেখতে পান তার সব মাছ মরে পানিতে ভাসতেছে। তিনি আরো বলেন,এই রকম ঘটনায় নবী হোসেন মৎস্য চাষে বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ নবী হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ নিধন করার ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক তা সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।