অাজিজুল হক:
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মরহুম আব্দুর রহিম চেয়ারম্যান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়। ২৮ জুন বিকাল ৩ টায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সংগঠনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব জাহেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ জামালের সঞ্চালনায় সভাপতি মাওলানা সেলিম উল্লাহর স্বাগত বক্তব্য ও নাদিমের কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য বান্দরবান জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাফা কামাল লালু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যাংকার, মা মনোয়ারা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ আহমদ চৌধুরী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এসএম মহি উদ্দিন মুকুল, উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শাহরিয়ার সায়মুম, সংগঠনের উপদেষ্টা ও ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি গোলাম সোবহান, পরিচালক মিডিয়া শ.ম.গফুর, পরিচালক অর্থ এম ছৈয়দ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম, মাওলানা ডাক্তার শামশুল আলম, ডা: এনামুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হাশেম, ছৈয়দ আলম প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টিটু বড়ুয়া, ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাকন বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাহাব উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা শাহ জালাল বাদল, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলম, সাবেক ছাত্র নেতা ছৈয়দুল হক,মোঃ জুবেল সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, ধন থাকলে ধনী হয় না, সুন্দর মন থাকতে হয়। আত্মা হতে হয়। দরিদ্র হয়েও আবদুর রহিম চেয়ারম্যান তৎকালীন নাইক্ষ্যংছড়িবাসীকে যে সেবা ও উন্নয়ন দিয়েছিলেন, সমাজ সংস্কারে দায়িত্ব পালন করে গুণী ব্যক্তির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। তারই একমাত্র পুত্র মালয়েশিয়া প্রবাসী মাওলানা সালেহ আহমদ প্রবাসে কষ্টাার্জিত অর্থের একটি অংশ ঘুমধুমের মানব সেবায় বিলিয়ে দিচ্ছেন। যা পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলছেন। ঘুমধুম ইউনিয়ন বিভক্তি হওয়ার পর যতসব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এসেছেন সরকারের তরফ থেকে পাওয়া সম্পদ দিয়ে মানুষকে সেবা দিয়েছেন। সমাজের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করতে পারেননি। এমনকি ওইসব জনপ্রতিনিধিরা তাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখার নজির নেই। শুধু সরকারের তরফ থেকে পাওয়া অর্থ নিজেদের আখের গুচাতে ব্যস্ত ছিলেন। মরহুম আবদুর রহিম চেয়ারম্যানের সুযোগ্য পুত্র মৌলানা সালেহ আহমদের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘুমধুমের তৃণমূল জনপদে মসজিদ, মাদ্রাসা স্থাপন, ইমাম-মোয়াজ্জিনের বেতন ভাতা প্রদান, হতদরিদ্র পরিবারে আর্থিক সহায়তা, অস্বচ্ছ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ, ঈদ পার্বনে বস্ত্র, সেমাই, চিনি, চাউল, তেল সামগ্রী বিতরণ ও কোরবানে গো-মাংস বিতরণ করে ভূয়শী প্রশংসা কুড়ান। যা আগামীতেও অব্যাহত রাখার পক্ষে সবশেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।