– তাওহীদুল ইসলাম নূরী
আল- কোরআনের জ্যোতিময়ী প্রভা একমাস বিস্তার করার পর মাহে রমজান আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিল। সাথে সাথে শিক্ষা দিল পরম ভ্রাতৃত্ব, ধৈর্য্য, সৌহার্দ্য ও সমবেদনার মহাসৌরবের। সমস্ত ক্ষুধাকে দূরে রেখে আত্মসংশোধন ও পবিত্রতার মানসে এক এক করে ঊনত্রিশটি দিন আমরা সিয়াম পালন করেছি। নামাজ, জিকির, ইস্তিগফার ও ইতিকাফসহ নানা কিছুর মাধ্যমে আমরা যেভাবে পারি মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছি এবং অনেকে সফলও হয়েছি। অনেক আনন্দ-খুশির মাধ্যমে ঈদুল ফিতরও আমরা উদযাপন করেছি। ফিরে এসেছি একমাস আগের রীতিতে। কথা হল, রমজান একমাস আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছে সে শিক্ষাকে পুঁজি এবং সঞ্চয় হিসেবে গ্রহণ করে বাকী এগার মাস আমাদের পাড়ি দিতে হবে। আগের সেই হানাহানি, মারামারিসহ ধর্ম বহির্ভুত নানা কর্মকান্ড আমাদের পরিত্যাগ করতে হবে। সাথে সাথে মনে রাখতে হবে নামাজ রমজান মাসে যেমন ফরয, অন্য সময়েও একই হুকুম। অন্যদিকে হানাহানি, মারামারিসহ আর আর ইসলাম বহির্ভূত সবকিছু সবসময় হারাম। রমজানে যেভাবে নিজ তরফ হতে হালাল-হারাম বিবেচনা করে খেয়েছি, অন্য সময়েও তাই করতে হবে। কারণ হযরত মুহাম্মদ (সঃ)বলেছেন, “হালাল রুজি ইবাদত কবুলের পূর্ব শর্ত এবং হারামখোর জান্নাতে প্রবেশকরবে না।” সিনেমা, গান-বাজনা, নাটকসহ প্রভৃতি ঈমানের জন্য ধ্বংসাত্নক সংস্কৃতি
হতে রমজানে যেভাবে দূরে থেকে দিন অতিবাহিত করার চেষ্টায় ছিলাম,তা অব্যাহত রাখতে হবে।

”আমি কে? আমি কি করব? আমি কোথায় যাব?” এ প্রশ্নগুলো মাথায় রেখে আমাদেরকে অনেক সাবধানে পা ফেলতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, “পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের দশের উপর নিজের নামটি উচ্চারিত করতে চাইলে নীতি নৈতিকতা এবং ধর্ম চর্চার বিকল্প নাই।” আর রমজান একমাস তো সে শিক্ষাই দিয়ে গেলো। তাই আমরা যে যে
স্তরে আছি রমজানের এ শিক্ষাকে ধারণ করে বাকী এগার মাস আল্লাহ্‌র হুকুম এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ)- এর নির্দেশিত পন্থায় জীবন অতিবাহিত করে দুনিয়া এবং আখিরাত উপযোগী মানুষ হয়ে বেড়ে উঠার চেষ্টা করতে হবে। অন্যথায় রমজান আমাদের যে শিক্ষা দিয়ে গেল তা আর মানা হবে না। সর্বোপরি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতো দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই অনিশ্চিত ধ্বংসের দিকে যাবে। আল্লাহ আমাদের এ গজব থেকে হেফাজত করে রমজানের শিক্ষা বক্ষে ধারণ করে দুনিয়া ও আখিরাত উপযোগী একজন মানুষ হিসেবে কবুল করুন। …….আমীন

মাআসসালাম
তাওহীদুল ইসলাম নূরী
শাহারবিল সদর,
চকরিয়া,কক্সবাজার ।