মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
সারা দেশে পবিত্র মাহে রমজানের শেষে আজ সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্টিত হয়েছে। নানা উৎসাহ উদ্দিপণায় একটি ভিন্ন আয়োজনে ঈদ জামায়াত সম্পন্ন হয়েছে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর মেধা কচ্ছপিয়াতে। এলাকার জনসংখ্যানুযায়ী কেন্দ্রীয় ওই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় খুবই সমস্যা সম্মুখীন হতে হতো। পরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম এম.এ’র হস্তক্ষেপে উল্লেখিত সমস্যার সমাধান হয়। গতবছরের মতো এবারও মহাখুশিতে ঈদের নামাজ আদায় করেছে এলাকার প্রায় এক হাজার জনগণ। এর আগের বছর পর্যন্ত মসজিদের সম্মুখে বিশ শতক পরিমান উন্মুক্ত মাঠে বৃহৎ জামায়ত আদায়ে সমস্যায় পড়তে হতো স্থানীয়দের। কেননা ওখানে রাজত্ব কায়েম করতেন স্থানীয় বালু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট। এলাকার মুসল্লীদের কোন কথা তোয়াক্কা না করে মাঠে স্তুপ করে রাখতেন কয়েকটি বিশালাকার বালির স্তুপ। গত ২০১৫ সালে উত্তর মেধাকচ্ছপিয়ায় একটি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান। ওসময় এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা আ.ন.ম শাহিনুল হামিদ রুমেল তার বক্তব্যে বিষয়টি জোরালো ভাবে উত্তাপন করেন। পরে বালু ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসন করে এক সপ্তাহের মধ্যে নিজ অর্থায়নে ওই মাঠে বাউন্ডারী ব্যাবস্থা করেন চেয়ারম্যান জাফর আলম। এরপর গতবছর থেকে এলাকার প্রায় হাজার খানেক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে সক্ষম হচ্ছে এখানে। এবারও এলাকার উদ্যামী যুবকদের সার্বিক সহযোগীতায় ঈদের নামাজ আদায় এবং বৃষ্টি বা বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সহযোগীরা হলেন আ.ন.ম শাহীনুল হামিদ রুমেল, ছৈয়দ হোছেন, ছৈয়দ আলম মনু, নেজাম উদ্দিন সওদাগর, মোহাম্মদ হোসেন সহ সমগ্র এলাকাবাসী। এর প্রধান উদ্ধোক্তা ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিন বলেন ‘চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলমের নিকট আজ উত্তর মেধা কচ্ছপিয়ার জনসাধারণ কৃতজ্ঞ। এবারের ঈদে একত্রিত হয়ে প্রায় এক হাজার লোকজন ঈদের নামাজ আদায়ে একমাত্র তারই অবদান। আমি ও আমার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি’