সিবিএন:

আজ রবিবার ২৯ রমজান পবিত্র সাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে কাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর যদি আজ চাঁদ দেখা না যায় তাহলে মঙ্গলবারই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ১ মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর যথাযত ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য এবং উৎসাহ উদ্দিপনায় পালন করার জন্য সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি।
কক্সবাজারে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্টিত হবে সকাল সাড়ে ৮ টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে।
এতে ইমামতি করবেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসিজদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক। আর যদি বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ানো না যায় তাহলে ঈদের প্রধান জামাত কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাজী মো. আবদুর রহমান জানান, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার প্রধান ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এতে ইমামতি করবেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক।
ঈদের জামাতকে সুন্দর এবং নির্বিঘ্ন করতে কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতে নামাজ আদায় করতে পারে সে হিসাবে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পুরু প্যান্ডেলের উপরে ত্রিপল দেয়া হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ছাড়া আরো বেশ কিছু জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্টিত হবে বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে শহরের বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ করে বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, মাঝের ঘাট জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে। বৃষ্টি হলে তারাবনিয়াছড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে বলে জানান সভাপতি মাস্টার শফিকুল হক। এছাড়া কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠেও অনুষ্টিত হবে ঈদের জামাত।
এদিকে পৌরসভার পক্ষ থেকে ঈদ উপলক্ষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কলেমা খচিত এবং বিভিন্ন রঙ্গিন পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার ড, একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, ঈদ জামাতসহ পুরো ঈদ আনন্দতে কোথাও কোন ধরনের সমস্যা যাতে না হয় সে জন্য আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন ঈদ আমাদের সাম্য এবং ভাতৃত্বের প্রতীক। প্রতিটি মানুষের মাঝে যেন ঈদের আনন্দ এবং তার মর্মবানী পৌছে যায়। মানুষ ধনী গরীব ভেদাভেদ ভুলে যেন এককাতারে এসে মানুষে মানুষে আপন করে নিতে পারে এবং ইসমালের প্রকৃত মুল্যবোধ জাগ্রত করতে পারে। জেলা বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।