আসন্ন ঈদুল ফিত্র উপলক্ষে জেলাবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ। শুভেচ্ছা বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর খুশির বারতা নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিত্র আমাদের মাঝে সমাগত। সিয়াম পালনের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ রাহমাত, বারকাত ও মাগফিরাতে নিজেদের আতœাকে অবগাহন করেছে। কামনা করেছে গুনাহ মাফি। অর্জন করেছে আতœশুদ্ধি, সংযম প্রদর্শন ও তাকওয়া। নেতৃদ্বয় বলেন, কুরআন নাযিলের মাস হিসেবে মাহে রামাদানকে যেভাবে সম্মান ও মর্যাদা সহকারে আমরা অতিবাহিত করেছি সেভাবে বছরের বাকী এগার মাস চলার জন্য শপথ গ্রহন করতে হবে। কুরআনিক সমাজ কায়েমের মাধ্যমেই তাকওয়াভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। মানবরচিত মত ও পথে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকে বাংলাদেশে দিন দিন কুরআন অনুশীলন ও অনুধাবনের পরিবেশ সংকুচিত হয়ে পড়ছে। সর্বক্ষেত্রে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব চাঙ্গা দিয়ে উঠছে। মাহে রামাদান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে এখনই এ পরিস্থিতি উত্তরণে এগিয়ে আসতে হবে। নচেৎ ইসলামী তাহজিব-তামাদ্দুন নতুন প্রজন্ম ভুলে যেতে বসবে। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে ঘরে-ঘরে ঈদের খুশির পরিবর্তে বিষাদের কালো ছায়া পড়ে আছে। ঈদের আনন্দক্ষণে বাড়িতে-বাড়িতে বাবা, ভাই, ছেলে হারানোর বেদনায় শোকাতুর পরিবেশ সৃষ্টি করে তুলেছে। ব্রিগেডিয়ার আজমী, ব্যারিস্টার আরমানসহ অসংখ্য তরুণ ও রাজনৈতিক কর্মী গুমের শিকার হয়ে আছে । এখনো তাদের পরিবারের সদস্যরা পথের দিকে তাকিয়ে আছে কখন আসছে আমার সোনা মানিক! নেতৃদ্বয় জেলের অন্ধ প্রকোষ্ঠে বন্দী আল্লামা দেলাওয়ার হোছাইন সাঈদীসহ আটককৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন। পাশাপাশি মাহে রামাদান থেকে ভ্রাতৃত্ব, ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সমাজ কায়েমের শিক্ষা গ্রহন করে শান্তি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমাণের জন্য মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করেন।