জাগো নিউজ:

আজ ঐতিহাসিক ২৩ জুন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ অঞ্চলের মানুষের রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে দলটি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবংবাংলাদেশ নামের ভূখণ্ডের অভ্যুদয় ঘটে।

১৯৪৯ সালের আজকের এই দিনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যদিও প্রতিষ্ঠাকালীন সময় সংগঠনের নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীতে পরিবেশ বিবেচনায় ‘আওয়ামী লীগ’ নামে সংগঠনটি কার্যক্রম শুরু করে।

১৯৫২ সালে ‘মায়ের ভাষা বাংলা’ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট পাকিস্তানের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছিল। ’৬২ সালে গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬ সালের ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

’৭০-এর নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার পরও পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করলে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানিদের এদেশ থেকে তাড়িয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে উপহার দেয়।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা-উত্তর সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই কুচক্রী মহল ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে এ সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নবউদ্যামে সংগঠিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।

২০০৮ সালে পুনরায় সরকার গঠন করে ‘রূপকল্প ২০২১’-এর আলোকে মধ্যম আয়ের সুখী-সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখান এবং ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর আলোকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।