মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ :
সমর শক্তির বিবেচনায় বর্তমান বিশ্বে কোন্ কো্‌ন দেশ সবচেয়ে শক্তিশালী? প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা আধিপত্য বিস্তার করেছিল তারাই বা কারা ছিল? আর ১৯৪৫ সালের পর সরাসরি কোন বিশ্বযুদ্ধ না হলেও, দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার নেতৃত্বে পুরো পৃথিবী দু‘ভাগ হয়ে পড়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ত্বে ছিল; যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, মধ্যপ্রাচ্য, ইসরাইল, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো, তুরস্ক, ইতালী, ভারত, পাকিস্তানসহ শক্তিশালী একটি জোট। বলা যায়, আমেরিকা যখন যা চেয়েছে, এসব দেশ তা মেনে নিয়ে তার পিছু পিছু হেঁটেছে। অপরদিকে, রুশ-ব্লকে ছিল; যুগোশ্লাভিয়া, পোল্যান্ড, ইউরোপের অধিকাংশ সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী দেশগুলো, চীন, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কিছু দেশ। আর উন্নয়নশীল এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এ দু‘ব্লকের মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও, কখনো মার্কিন ব্লকে, কখনো বা রুশ ব্লকের ছায়াতলে থেকে নিজ নিজ অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করে গেছে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশও দু‘ব্লকেরই ছায়াতলে আশ্রয়-পশ্রয় পেয়েছে। আবার জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে তেমন একটা স্বাতন্ত্র বজায় রেখে কাজ করতে সক্ষম হয় নি। যাহোক, আমার বর্তমান নিবন্ধটিতে সমর শক্তির বিবেচনায় ২৩টি শক্তিশালী দেশের কথা তুলে ধরার প্রয়াস চালাব। আর নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্যসমূহ সংগ্রহ করা হয়েছে; ইউএস নিউস এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট কতৃক সম্প্রতি পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদন হতে।
১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ইউ.এস নিউস এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট কতৃক সম্প্রতি পরিচালিত সমীক্ষা প্রতিবেদন হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি প্রায় ৭৫% শতাংশ মানুষ মনে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। তবুও দেশটির অবস্থান এখনো সবার শীর্ষে, সার্বিক শক্তিতে। এদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং শৈল্পিক প্রভাব বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। আর তাদের সমর শক্তি পৃথিবীতে অ-দ্বিতীয়।
২. রাশিয়া: দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ রাশিয়াকে অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর সামরিক ব্যায় ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে তার জাতীয় আয়ের ৩.৩ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে থাকে, সেখানে রাশিয়া ব্যয় করে ৫.৪ শতাংশ।
৩. চীন: সাম্প্রতিককালে চীন সকল বিবেচনায় অভাবনীয় শক্তি অর্জন করেছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যা বিশিষ্ট এ দেশ বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত সমর শক্তির অধিকারি। বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো; আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ চীন সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
৪. যুক্তরাজ্য: বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি পর্যবেক্ষণ করেন এমন সব বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে যুক্তরাজ্য একটি অত্যন্ত উন্নত দেশ। সারাবিশ্ব এর আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, রাজনীতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি বিদ্যমান রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন হতে বেরিয়ে আসার মুখে কিছুটা বৃটেনকে দুর্বল অবস্থানে ফেলে দিলেও, এ দেশে বিশ্বব্যাপী প্রভাব অক্ষুন্ন থাকবে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।
৫. জার্মান: ইউরোপের বৃহত জনসংখ্যা সংবলিত দেশ জার্মান। এর অর্থনৈতিক শক্তি ১৯৯০ সালে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পর বিশ্বমঞ্চে জার্মানকে অন্যতম শক্তিশালী দেশের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। আর তা অব্যাহত থাকবে, অনেকদিন।
৬. ফ্রান্স: এ দেশটি জাতীয় আয়ের বিবেচনায় ইউরোপে সবচেয়ে শক্তিশালী । এর মাথাপিছু আয় ৪২,৩৮৪ মার্কিন ডলার। ফ্রান্স বিশ্বের অন্যতম বৃহত অস্ত্র রফতানিকারক দেশ। দেশটির জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীত এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব বলয় সারাবিশ্বে এর অবস্থানকে শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে। বিশেষত: ফ্রান্সের উন্নত সংস্কৃতি জগত এর বিশ্বব্যাপী প্রভাব-প্রতি-প্রত্তিকে অনেক উঁচু মর্যাদায় স্থান করে দিয়েছে।
৭. জাপান: প্রযুক্তিগতভাবে জাপান বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম উন্নত একটি দেশ। এর অর্থনীতি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি। দেশটিতে ২০১১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ সুনামী এর অর্থনীতিতে বড় ধরণের ধস নামালেও, তারা তা কাটিয়ে ওঠেছে।
৮. ইস্রাইল: মাত্র ৮০ মিলিয়ন (৮লক্ষ) জনসংখ্যা বিশিষ্ট এ দেশ বিশ্বরাজনীতিতে বিরাট প্রভাব-বলয় সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। ফিলিস্তিনের সাথে সংঘাত-সহিংসতার নিত্য সংকট সত্তেও, এ ইহুদী রাস্ট্র গড়ে তুলেছে শক্তিশালী অর্থনীতি। ইসরাইলের নাগরিকরা শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক অগ্রসর এবং তাদের মাথা পিছু আয় অনেক বেশি।
৯. সৌদি আরব: মুসলিম প্রধান এ দেশটিতে মুসলমানদের দুই পবিত্র স্থান মক্কা ও মদীনা অবস্থিত। পবিত্র কুরআন শরীফ অবতীর্ণ হয়েছে, সৌদি আরবে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ:)-এর পূন্য ভূমি এটি। মক্কা শহরকে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মক্কা নগরীকে অতি মর্যাদাসম্পন্ন বলে অভিহিত করেছেন। সৌদি আরবের তেল সম্পদ এ দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে সম্পদশালী এবং শক্তিশালী দেশে পরিণত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং পাশ্চাত্যের একতি মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত।
১০. সংযুক্ত আরব আমিরাত: আরব দেশগুলোর মধ্যে আরব আমিরাত দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। এটি অন্যতম সমর সরঞ্জাম আমদানিকারক দেশ।
১১. দক্ষিণ কোরিয়া: উত্তর কোরিয়া কতৃক সদা হুমকির মুখে থাকা এশিয়া মহাদেশের এ দেশটি অর্থনীতি, প্রযুক্তি এবং শিক্ষা-দীক্ষার বিবেচনায় অন্যতম শক্তিশাল একটি দেশ। মার্কিন যুক্রাষ্ট্র এবং অন্য বিশ্ব শক্তিগুলোর কাছ হতে দক্ষিন কোরিয়া সব সময় আনুকুল্য পেয়ে আসছে। দেশটিতে পাশ্চত্য উন্নত দেশগুলো বিপুল পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। আর দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের ৬ষ্ট বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ।
১২. কানাডা: ২৩ টি বৈশ্বিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে কানাডা অন্যতম শক্তিশালী দেশ। ইউএস নিউজ এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট পরিচালিত সমীক্ষা অনুযায়ি এটাকে অর্থনৈতিক ও সমর শক্তির বিবেচনায় ১২তম মক্তিধর রাষ্ট্রের তালিকায় স্থান দেয়া হলেও, তা তেমন গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু কানাডা মার্কিন অথ্যনৈতিক বলয়ের দেশ। আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যিক সর্ম্ক অত্যন্ত শক্তিশালী।
১৩. তুরস্ক: তুরস্ক দেশটির ভৌহোলিক অ্স্থান একে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রবেশদ্বারের মর্যাদা দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা তুরস্ককে দুটি অঞ্চলের জন্যই সম্পর্কগত বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশের মধ্যকার বিরোধীয় সম্পর্ক এতে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করে রেখেছে।
১৪. ইরান: ভূ-কৌশলগতভাবে মধ্যপ্রাচ্যের পেটের ভিতরে অবস্থিত ইরান দেশটি অত্যন্ত গুরুত্ব হয়ে আছে। দেশটির তেল সম্পদের প্রাচুর্য্য এবং অন্যান্য প্রাকৃতি সম্পদের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো আন্তর্জাতিকভাবে সূদীর্ঘ কাল ধরে ইরানের প্রতি আগ্রহী। ফলে, এদশটিও অন্যতম বিশ্ব শক্তিধর রাষ্ট্র।
১৫. সুইজারল্যান্ড: ইউরোপীয় এ ছোট্ট দেশটি বিশ্বব্যাপী মানব বসতির বসবাসের জন্য একটি চমৎকার ভূ-খন্ড হিসেবে জনপ্রিয়। মাথাপিছু আয় এবং এর আকর্ষণীয় ব্যবসায়-বাণিজ্য বিবেচনায় সুইজারল্যান্ড বিশ্বে অন্যতম আকর্ষণীয় ও শক্তিশালী একটি দেশ।
১৬. ভারত: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত। ২০১৬ সালে ভারত দ্রুত অর্থনৈতিক শক্তির বিকাশ সাধনকারি একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সম্প্রতি দেশটি বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করছে, বটে। কিন্তু এর অবস্থান ও উত্থান দিন দিন ভারতকে বিশ্ব শক্তিরূপে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।
১৭. অস্ট্রেলিয়া: শক্তিমত্তা এবং বৈশ্বিক প্রভাব-বলয়ের বিবেচনায় এর অবস্থান কম গুরুত্ববহ হলেও, অস্ট্রেলিয়া মানসম্মত জীবন-যাপনের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১৮. ইতালী: কিছুটা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেল বছরটি কাটিয়েছে ইতালী। প্রধানমন্ত্রী ম্যাতিও রেঞ্জির পদত্যাগ এবং সরকার গঠন নিয়ে দেশটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এতসব সত্বেও, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালী তৃতীয় বৃহত্তম শক্তিধর দেশ।
১৯. সুইডেন: সামরিক শক্তি-সামর্থ্যের ইৎস ভূমির দেশ সুইডেন। মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার স্বার্থে এবং স্থিতিশীলতা রক্ষাকল্পে দেশটি সমর শিল্পের বিকাশে নিনিয়োগের তীব্র রিরেধীতা করে আসছে এ দেশটি। নাগরিকদের কল্যাণার্থে কাজ করার প্রতিশ্রুতির জন্য সুইডেন আন্তর্জাতিক শক্তিধর দেশগুলোর কাছে প্রশঙসিত হয়েছে। শক্তি-মত্তার বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য না হলেও বিশ্বে এর অবস্থান বেশ ভাল।
২০. পাকিস্তান: রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি এবং উগ্রবাদিতা বিশ্বে পাকিস্তানের উত্থান পথকে বাধাগ্রস্থ করছে। দেশটি রফতানিমুখি অর্থনীতি এর অবস্থানকে সুসংহত অবস্থায় রেখেছে। কিন্তু তার উল্লেখিত প্রবিন্ধকতাসমূহ বিশ্ব দরবারে পাকিস্তানকে কিছুটা অনাকর্ষণীয় করে রেখেছে।

২১.নেদারল্যান্ড: আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন বিষয়ক আদালত নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক রঙ্গমঞ্চে এ দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২২. স্পেন: ১৯৮৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি স্পেনকে আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এর অবকাঠামো, শিল্পকারখানা ও অর্থনৈতিক নীতি এ দেশটিকে বিশ্ব ব্যবস্থায় শক্তিশাল িঅবস্থানে স্থান দিয়েছে।
২৩. কাতার: মাথা পিছু আয় এবং এর তেল সম্পদ; মধ্যপ্রাচের দেশ কাতারকে বিশ্বে অন্যতম সম্পদশালী দেশের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে। তেলের দাম কমে যাওয়ায় এর অর্থনীতি বিগত কয়েক বছরে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও, কাতার সার্বিক বিবেচনায় অন্যতম বিশ্বশক্তি।
উপসংহার: কোন একটা দেশ কতটা সভ্য, ন্যায় পরায়ন, সুন্দর বা সুশৃংখল তা আদৌ বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় বিবেচ্য বিষয় নয়। মানুষ বিবেচনা করে তার সমর শক্তি ও অর্থনৈতিক শক্তিকে। জাতি সংঘ সদস্যভুক্ত ১৯০টিরও বেশি স্বাধীন দেশ আছে পৃথিবীতে এখন। এরমধ্যে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র দাবি করতে পারে না। মানব রচিত বিধি-বিধান মানেুষের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না, সেটাও প্রমাণিত সত্য। মার্কিন আধিপত্য এখন সর্বত্র। রাশিয়া ও চীন উঁখি উঁখি দিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে করে এগুতে চেষ্টা করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা সাফল্যও পাচ্ছে। বিশেষত: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ মার্কিনীদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এমন আরও কতকিছু ঘটবে, অদূর ভবিষ্যতে কে জানে? এখানে আমরা বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি এবং সমর শক্তির বিবেচনায় ২৩টি শক্তিধর দেশের চিত্র তুলে ধরেছি। আগামী কয়েক দশক তাদের অবস্থান অক্ষুন্ন থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।