নিউজ ডেস্ক:
ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আলোচনায় আসা অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি এখন নাম বদলে আমাতুল্লাহ হয়েছেন। নামের মতো পুরোপুরি বদলে গেছেন তিনি নিজেও।

আমাতুল্লাহ অর্থ আল্লাহর দাসী। নিজেকে আপাদমস্তক বোরকায় ঢেকে এখন চলাফেলা করেন হ্যাপি। এমনকি হাতের নখও মোজায় ঢেকে রাখেন। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নিজের আগের সব ছবি। বন্ধু তালিকায় আছেন কেবল নারীরা।

নায়িকার জীবন থেকে পুরোদস্তুর বদলে ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী জীবন-যাপন শুরু করা হ্যাপি এতদিন ছিলেন অনেকটাই প্রচারের আড়ালে।

তবে বুধবার (২১ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি হ্যাপিকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করায় আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি।

happyএদিকে, কঠোর পর্দানশীন হয়ে জীবনযাপন করা হ্যাপির রূপান্তরের সাত-পাঁচসহ তার জীবনের নানান বিষয় নিয়ে বাজারে এসেছে একটি জীবনীভিত্তিক বই।

মাকতাবাতুল আজহার প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত `হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ` নামে সাক্ষাৎকারধর্মী এই বইটি লিখেছেন মাকতাবাতুল আজহার প্রকাশনীর প্রকাশক আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও তাঁর স্ত্রী সাদিকা সুলতানা সাকী।

বইটির সহ লেখক আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানিয়েছেন, ৬/৭ মাস আগে হ্যাপি তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তার জীবনকথা নিয়ে সে বই প্রকাশ করতে চান, তা কেউ কি ছাপাবে? হ্যাপির বন্ধু তালিকার সবাই নারী হওয়ার কারণে ফারুকের স্ত্রীর মাধ্যমে হ্যাপিকে বই প্রকাশের অফার দেওয়া হয়। এরপর তিনি লেখা শুরু করেন।

ফারুক জানান, হ্যাপি এখন পুরোপুরি বদলে গেছেন। বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন প্রায় আট মাস আগে। বইয়ে হ্যাপি বলেছেন, তার নতুন শিশুর মতো জন্ম হয়েছে, আগের জীবনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

নিজের প্রকাশনী থেকে বের হওয়া বই সম্পর্কে তিনি জানান, সাক্ষাৎকারধর্মী বইটিতে মোট ১০৪টি প্রশ্ন রয়েছে। এতে হ্যাপির শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, অভিনয়, মডেলিং, জীবনের উত্থানসহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে। ‍তুলে ধরা হয়েছে তিনি কীভাবে নামাজি ও পর্দানশীন হয়ে উঠলেন।

তবে বইটিতে রুবেলকে জড়িয়ে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে কিছু নেই। হ্যাপি বিষয়টি ভুলে যেতে যান। তার পরিবারেও এটি নিয়ে আলোচনা হয় না বলে তাদের জানিয়েছেন।

ফারুক জানান, বইটি নিতে গ্রাহকরা ভিড় করছেন। সবাই জানতে চান হ্যাপি অভিনয় জীবন ছেড়ে কেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারী হয়ে উঠলেন?

২০১৩ সালে `কিছু আশা কিছু ভালোবাসা` নামে সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন মডেল হ্যাপি। কিন্তু ২০১৪ সালের শেষ দিকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তুমুল আলোচনার জন্ম দেন তিনি। এ নিয়ে সে সময় রুবেল হোসেনকে জেলেও যেতে হয়।