ডেস্ক নি্উজ:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় সংসদে বাজেট নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে এটা গণতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। এ বিতর্কই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। বিতর্ক না থাকলে গণতন্ত্র কখনও প্রতিষ্ঠা পায় না এবং গণতন্ত্রের কোনো ডিউটি থাকে না। গণতন্ত্রের ডিউটি হচ্ছে বিতর্ক। সংসদে সেই বিতর্কই হচ্ছে। সেটা পক্ষে হবে, বিপক্ষে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংসদ সদস্যরাই অনেকে এ বাজেটের বিরোধিতা করছেন কিছু কিছু অংশে আবার পক্ষে বলছে। প্রস্তাব উত্থাপন মানেই বাজেট পাস নয়। বাজেট পাস হবে ২৯ তারিখে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সবাইকে নিয়ে বসেছেন, কথা বলেছেন, আলাপ আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি বাজেট যখন সংসদে পাস হবে তখন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। জনগণ খুশি হবে এবং বিএনপির মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানে সহায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। এছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে সহায়ক সরকার বলে নির্বাচনকালীন কোনো সরকার নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন বেগম জিয়ার আশা করছেন, তিনি কি সহায়ক সরকার করেছিলেন? এখন এসব কথা বলে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বেগম জিয়া আসবেন সেটা আমরা জানি। কারণ এ নির্বাচনে আসার জন্য তারা নিজেদের দলেরই চাপে আছে। এ নির্বাচনে না এলে বিএনপির অবস্থান মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ হবে। পরপর নির্বাচন বয়কটের পরিণতি তাদের চোরাবালিতে আটকে রাখবে। এ ধরনের অস্বতির ঝুঁকি বেগম জিয়া নেবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না।

ঈদে যানজটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বড় ধরনের কোনো জটপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। জনগণের ভোগান্তি সহনীয় পর্যায় রাখার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের প্রকৌশলীদের ছুটি বাতিল করেছি। যেখানে অবহেলা সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গতকাল গাজীপুর ও ভুলতার দুই প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে। কোনো প্রকার দায়িত্ব অবহেলা সহ্য করা হবে না।

এর আগে মন্ত্রী চলমান বাসের যাত্রী ও চালকদের উদ্দেশ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।