শাহেদ মিজান, সিবিএন:
ঈদুল ফিতর আসতে আর মাত্র তিন অথবা চারদিন বাকি। ঈদ একদম নিকটে ঘনিয়ে আসায় ঈদবাজারে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। শহর থেকে গ্রাম- সবখানে তুমুল কেনাকাটা চলছে। এতে সব মার্কেট ও দোকানে ক্রেতার উপড়ে পড়া ভিড় বেড়েছে। ক্রেতার ভিড়ে দোকানীরা বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছে। কক্সবাজার শহরসহ সব উপজেলায় খোঁজ নিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, ২৯ রোজা পেলে ২৬ জুন এবং ৩০ রোজা পেলে ২৭ জুন মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ঈদমুখী মানুষেরা কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ১০ রমজান থেকে জেলা শহরসহ কক্সবাজারের উপজেলায় পর্যায়ে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়। আস্তে আস্তে ক্রেতার ভিড় বেড়ে ১৫ রমজান থেকে বেড়ে যায় ভিড়। কক্সবাজারে শহরে ক্রেতার অনেক বেড়ে যায়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন শহরের কেনাকাটা করতে আসায় ভিড় বাড়ে। বর্তমানে এলাকায় ক্রেতায় ঘম ঘম করছে সব ধরণের মার্কেট। এর মধ্যে কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও মানুষ বসে নেই। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাকভেজা হয়েও কেনাকাটা সারছে।
গতকাল কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন বিপনি বিতান ঘুরে গেছে, সব বয়সী এবং সব শ্রেণি পেশার মানুষের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে আছে। এতে সরগরম হয়ে ওঠেছে বিভিন্ন বিপনি বিতান। অন্যদিকে বাড়তি চাহিদার কারণে দোকানীরাও বাহারি পোশাকে পসরা সাজিয়েছেন নানা রঙে, নানা ঢঙে। পছন্দের পোশাক কিনতে বিপনী বিতান গুলোতে আগে ভাগেই ঢুঁ মারছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে আগে থেকেই বর্ণিল সাজে সাজিয়েছে সবকটি বিপনী বিতান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর ঘুরে রমজান আসলে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক পরিবারও জমানো টাকা নিয়ে কেনাকাটা করতে ছুটে আসেন শহরের অভিজাত মার্কেটগুলোতে। আকর্ষনীয় পোশাকের সংগ্রহও রয়েছে মার্কেটের প্রতিটি দোকানে। ঈদবাজারের এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়ীরাও চোখ ধাঁধানো আলোক সজ্জা করে সাজিয়েছেন নিজের বিপনী বিতানগুলো। মার্কেটগুলোর অধিকাংশ দোকানে রয়েছে দেশী-বিদেশী কাপড়ের সমারোহ। কথায় আছে মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, তেমনি কয়েকদিনের মৌসুমি বৃষ্টির পর রোদেলা দিনে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটাতে অনেকেই এসেছেন ঈদের নতুন পোশাক কিনতে। দেখা গেছে সব মার্কেটের প্রবেশ মুখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বাহারি ডিজাইনের সাজ-সজ্জাও করা হয়েছে। শহরের অভিজাত মার্কেটগুলোর মধ্যে সী-কুইন, ইডেন গার্ডেন, নিউ মার্কেট, ফজল মার্কেট, হাজেরা শপিং মল, আবু সেন্টার, কোরাল-রীফ প্লাজা, এ. ছালাম মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, বার্মিজ মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানে ঈদ উপলক্ষে দেশী-বিদেশী পণ্যের সমাহার চোখে পড়ার মত।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথম দিকে বেচাকেনা একটু কম হলেও শেষ মুহুর্তে অনেক বেড়েছে। তবে থেমে থেমে আসা বৃষ্টি কেনাকাটায় বিঘœ ঘটাচ্ছে। এতে ক্রেতারা ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এবারে কাপড়ের তুলনামূলক কম। তবে ক্রেতারা তা মানতে নারাজ। ক্রেতারা বলছেন, কাপড়সহ অন্যান্য নিত্য পণ্যর দাম বেশী।
খরুলিয়া থেকে কেনাকাটা করতে আসা গৃহবধূ আসমা বেগম জানান, রোদ থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পছন্দের কাপড় ছোপড় কিনতে এসেছি। তবে কাপড়ের দাম বেশী চাইছে ব্যবসায়ীরা। অনেক দোকানে বিক্রয় মূল্যের চেয়ে ৩/৪ গুণ বেশী দাম চেয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। পছন্দের জিনিষ কিনতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঠকছেন ক্রেতারা।