মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া:

পেকুয়া উপজেলার পাহাড়ি ইউনিয়ন টইটংয়ের বটতলী ছড়া-খাল খননের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। খালটি পুন: সংস্কার কাজ শেষ হলে আশেপাশের ৮/১০টি পাহাড়ি গ্রাম জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা পাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আর এদিকে বটতলী ছড়া-খাল খনন কাজ শুরু হওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছে স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীরা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, বটতলী ছড়া-খালটি উপর থেকে পাহাড়ের পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয় কৃষকরা পানি সেচের তীব্র সংকটে পতিত হয়েছিল। বটতলী ছড়া খাল ভরাট হওয়ায় সবচেয়ে বড় দূর্ভোগের শিকার হয়েছিল স্থানীয় কয়েক হাজার কৃষক। কৃষকরা আরো জানান, বটতলী ছড়া-খালটির খনন কাজ শেষ হলে অতীতের মতো চাষের মৌসুমে আর পানি সংকট থাকবেনা। সারা বছরই খননকৃত খালে মিঠা পানি থাকবে। আর সেই মিঠা পানি দিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে চাষ করে সোনার ফসল ঘরে তোলা যাবে।

পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টইটং বটতলী ছড়া খালটি খননের জন্য কাবিখা প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর বরাদ্দের স্টীমিটের ভিতরেই খালটি খনন করা হচ্ছে। খাল খননের কাজ দ্রতি এগিয়ে চলেছে। ফলে কৃষকরা লাভবান হবে।

পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ জানান, বটতলী ছড়া খালটির খনন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কাজ সুষ্টুভাবে সম্পাদন হচ্ছে। তার কার্যালয় কাজটি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

টইটং ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, বটতলী গ্রামসহ আশেপাশের ৮/১০টি গ্রামের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদের পানি সেট নিয়ে মারাত্মক দূর্ভোগে ছিল। খালটির খনন কাজ শেষ হলে কৃষকদের সেই দূর্দশা আর থাকবেনা।