মো: শাহ্-আলম :

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা শান্তিরঘাট নামক এলাকায় পারিবারিক খুটিনাটি বিষয়ের জের ধরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনা গত ১৫ জুন বিকেল সাড়ে ৩টার সময় ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী অভিযোগকারী মিলি দে জানান, উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে অতর্কিত অবস্থায় মোটরসাইকেল নিয়ে আমার উঠানে অনধিকারে প্রবেশ করে। দুর্বৃত্তরা হলেন, ডুলাহাজারা ৫নং ওয়ার্ড শান্তিরঘাটের মৃত সুনীল দে এর পুত্র স্বপন দাশ (২৫) তাহার ভাড়াটিয়া গুন্ডা ও ডাকাত একই ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী জাফর ড্রাইভারের পুত্র মো: আজিজ । এ দুর্বৃত্তরা আমার পানি ভর্তি কলসিটি তাদের হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে সজোরে আঘাত করে ভেঙ্গে দিলে এর আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে েএর প্রতিবাদ করায় মোটরসাইকেল অঅরোহী দুর্বৃত্তরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা লোহার রড় ও শক্ত কাঠ দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে এবং তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও শক্ত কাঠ আমার তলপেটে কোমরে সজোরে আঘাত হানাতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। হুশ পেয়ে গলাফাটা চিৎকার করি। আমার এ আত্মচিৎকারে লোকজন আসার পুর্বে এ দুর্বৃত্তরা আমাকে শীলতাহানির চেষ্টা সহ গলা টিপে হত্যার চেষ্টাকালে লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে রক্তাক্ত ও জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। সাথে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যায়। পরে উদ্ধারকারীরা আমাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে আমি চকরিয়া থানায় আইনী সহায়তা চেয়ে গত ১৮ জুন একখানা এস.ডি.আর নং মামলা দায়ের করি। মামলা নং-৭৬৬/১৭।

অভিযোগকারীর স্বামী মিলন দে জানান, এ দুর্বৃত্তরা আমার সহধর্মিনীর উপর এত অত্যাচার নির্যাতন করার পরও এখন পার্শ্ববর্তী কিছু কুচক্রি ব্যক্তিদের কু-পরামর্শে তারাও আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করেছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, এ দুর্বৃত্তরা আমাকে অনাহুত ভাবে উক্ত এলাকাছাড়া করার জন্য এর পূর্বেও চকরিয়া থানায় গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ইং তারিখে একটি এস.ডি আর মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২০৫/১৬। পর পর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। অভিযোগ নং ৯৯৮/১৬। কিন্তু দুর্বৃত্ত স্বপন দে তার দায়েরকৃত অভিযোগের বিচার ফায়সালার ধার্য্য তারিখ অনুযায়ী না গিয়ে সময়ে নিতে থাকে। এতে থানা প্রশাসন তাকে একজন ভন্ড ও প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করে তাহার দায়ের কৃত অভিযোগগুলি মিথ্যা বলে শেষ করে ফেলে দেয়। এর পর থেকে হামলাকারী স্বপন আমাকে রাতের অন্ধকারে মারিবে, কাটিবে, গুম করিবে এমনকি এলাকা ছাড়া সহ মিথ্যা মামলা জড়িয়ে জেল হাজত কাটাইবে এ ধরণের হুমকি প্রদর্শন করাতে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট তার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করি। চেয়ারম্যান পর পর ২বার তাকে স্থানীয় বিচার ফায়সালার বৈঠকে ডেকে আনলেও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আবচারের কারণে বিচার ফায়সালা শেষ করতে পারেনি। পরে তারা এ ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। গোপন সূত্রে জানা যায় যে, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সহ এলাকার কুচক্রি পরামর্শ দাতা চিত্ত রঞ্জন দে , জাপানী উপসেনা ও এলাকার চিহ্নিত প্রতারক লামা কুমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাষ্টার অমল দে দুর্বৃত্ত স্বপনকে তার হাতে ধারালো চাকু দিয়ে হালকা রক্তাক্ত কাটা টানের চিহ্ন দেখিয়ে উল্টো অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিধায় উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আন্তরিক হস্তক্ষেপও কামনা করেন মিলি দে।