শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের সরঞ্জাম জব্দ করেছে প্রশাসন। ১৯ জুন বিকাল ৩টার দিকে ইউনিয়নের রাজঘাট ও গজালিয়ায় অভিযান চালিয়ে এ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। জব্দ হওয়া সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ড্রেজার মেশিন ৩টি, বালি ভর্তি ড্যাম্পার ১টি, পাইপ ১৫টি, লাইনার বিট ১টি, ডিজেল ভর্তি কনটেইনার ২টিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসময় অভিযানের খবর পেয়ে অবৈধ বালি খেকোরা পালিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ইউনিয়নের রাজঘাটা নামক এলাকায় নির্বিচারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বাসিন্দাদের বসতবাড়ী, ফসলী জমি, নদীর দু’পাড়ের রক্ষা বাঁধ ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। বিলীন হয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। প্রশাসনের নির্বিকার আচরণে বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়স্থল হারিয়েছেন অনেকে। ইসলামাবাদসহ পুরো ঈদগাঁওতে বালির ব্যবসা এখন রমরমা। ব্যবসায়ীরা তাদের বালি রেখে সরকারী সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। সম্প্রতি ১৭ ও ১৮ জুন এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। সূত্র জানায়, ইসলামাবাদে বালি ব্যবসায়ীরা সরকারী সম্পত্তি দখল করে রমরমা বালির ব্যবসা করে গেলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার ছিল। কেউ কিছুই বলছে না। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছিল না। এমনকি সড়ক কেটে সমান করে সেখানে বালি স্তুপ করে রাখছে। বালির সাথে উঠা পানি এগিয়ে গিয়ে সড়ক ভেঙ্গে দেবে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন সচেতন ব্যক্তি জানান প্রভাবশালী একটি মহলের মদদে এ বালি উত্তোলন করে আসছিল। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত একটি প্রভাবশালী মহল সরঞ্জামগুলো ছাড়িয়ে নিতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। অভিযান পরিচালনা করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে গজালিয়ার সর্বস্তরের লোকজন। এদিকে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে অভিযান চালিয়ে অবৈধ এ সরঞ্জাম জব্দ করায় মালিক পক্ষের লোকজন সংবাদকর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।