আবদুর রাজ্জাক:

কক্সবাজারের লিংক রোড়,উপজেলা সদর,পুলিশ লাইন সংলগ্ন বাদশা ঘোনা ও কলাতলী মোড় এলাকায় কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাস জমি এক শ্রেণীর অসাধু ভুমদস্যু সিন্ডিকেট চক্র অবৈধভাবে দখল করে নিয়ে সেখানে প্রকাশ্যে একের পর এক বহুতল ভবণ নিমার্ণ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা তা দেখেও না দেখার ভান করে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উক্ত ভুমি দস্যু চক্রের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় পরিবেশবাদী ও সচেতন মহলের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন নগরীর কক্সবাজারকে ঘিরে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও ভুমিদস্যরা ইতিমধ্যে এখানকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি খাস খতিয়ানের সরকারি খাস জমি দখল করে নিয়েছে ।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার এসব অবৈধ কর্মকান্ড দেখেও দেখছেন না।

তারা বলছেন, সরকারি জমিতে প্রভাবশালীদের গড়ে তোলা এসব বিতর্কিত বহুতল ভবন এবং অসামাজিক কর্মকান্ডের নিরাপদস্থল হোটেল/কটেজ গুলো দ্রুত উচ্ছেদ না করা না হলে এক দিকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মারাত্মক সৌন্দর্যহানি হবার আশঙ্কা রয়েছে অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের আধুনিক পর্যটন নগরীর গড়ার বিরূপ প্রভাব পড়বে।

এদিকে আবুল হোছাইন নামের একব্যক্তি জনস্বার্থে ভুমিদস্যুদের কবল থেকে এসব সরকারি খাস জমিগুলো দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার (বর্ধিত পৌরসভা) বিএস খতিয়ান নং-১ এর বিএস ঃ ২০০৩৯, ২০০৪৪, ২০০৪৬, ২০০৪৭, ২০০৩৭, ২০০৫০, ২০০৬০, ২০০৪১, ২০০৪২, ২০১৬৩, ২০০৫৯, ২০০৫৮, ২০০৬৭, ২০০৬৮ ও ২০০৬২ দাগের খতিয়ানগুলোতে বিপুল পরিমাণ সরকারি খাস জমি রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য কোটি কোটি টাকা। ইতোমধ্যে এসব খতিয়ানের বিপুল পরিমাণ জায়গা দখল হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, দখলীয় জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবন। অথচ, সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ইসিএ এলাকায় এমন বহুতল ভবন নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলছেন পরিবেশবীদরা।

জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়ের করা লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আবু মোকারম, মুকিম, আলী আকবর, আবু সওদাগর, জহির সওদাগর, আমিন ইন্টারন্যাশনাল, রেইন ভিউ কটেজ, সি-কক্স কটেজ, সি-উত্তরা, প্যাট্টানাইট ডেভেলাপার, আমিন ও জালিয়াত হাকিমের নেতৃতে নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান উল্লেখিত খতিয়ানের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। যে জমিগুলোর বর্তমান মূল্য কোটি কোটি টাকা। বিশেষ করে ২০০৭ ও ২০০৮ সালের দিকে ওই এলাকায় জমির মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে দখলবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং এসব জমি দখল করে নেয়। অভিযোগ আছে ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তথ্য গোপন করে এসব জমি দখলে নিতে দখলবাজদের সব ধরনের সহযোগিতা করেন। তবে কক্সবাজার সদর (ভূমি) সহকারী কমিশনার পঙ্কজ বড়–য়া উক্ত জমি উদ্ধারে শীঘ্র অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।

এই বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাাসক মো. আলী হোসেন জানান, ‘সরকারি জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।