বলরাম দাশ অনুপম:

অবশেষে কক্সবাজারের পাহাড়ী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সম্প্রতি রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দফায় দফায় বৈঠক এবং ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ী এলাকা পরিদর্শন করে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি-ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করা চার শতাধিক বসতির তালিকা তৈরি করা হয়। এই তালিকা ধরেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। রবিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকায় দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের প্রথম দিনে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় থাকা ১০টি বসতি উচ্ছেদ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া। অভিযানে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের কর্মকর্তারা অংশ নেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েস বলেন-সম্প্রতি রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির কারণে জেলার পাহাড়ের পাদদেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি-ঝুঁকিপূর্ণ চার শতাধিক বসতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী রবিবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। প্রথম দিনে ১০টি বসতি উচ্ছেদ করা হলেও পরবর্তীতে তালিকায় থাকা অন্যগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন-জেলার বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে অনেক জনবসতি। জেলা প্রশাসন কর্তৃক পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে গঠিত টিমের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট পাহাড়গুলো পরিদর্শন করেছেন। প্রথমে পাহাড়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারিদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বসবাসকারিদের সরে যেতে মাইকিং ও সহকারি কমিশনার এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে পরিদর্শক টিমের পরিদর্শন অব্যাহত রাখবে এবং পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বসবাস কারিদের নিরাপদস্থানে অপসারনে নিয়োজিত রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান জেলা প্রশাসক।