মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী:

কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা জন্য বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন ডিসি-অফিসের ৩য় তলায় অবস্থিত এল-এ শাখা ও ট্রেজারী অফিসে ব্যাংক চেকে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এল,এ-অফিসের তালিকা ভূক্ত ১১নং দালাল ইনানীর চেপটখালী এলাকার মৃত অজিউল্লাহর পুত্র মৌলভী আবুল বশর ও উখিয়ার হেলাল। নিরীহ্ লোকজন তাদের অধিকগ্রহণকৃত জমির টাকার জন্য এল.এ শাখায় গেলে উল্লেখিত দালালরা চেক ইস্যু হওয়ার স্থানে তাদের নিজস্ব লোকজন দিয়ে কার-কার নামে চেক ইস্যু হয়েছে দেখে নেয়। পরে যাদের নামে চেক ইস্যু হয়েছে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদেরকে বলে আমাদেরকে ১লক্ষ থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ২০হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবী করে বসে। কেউ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তোমার জমিতে ভেজাল আছে তুমি টাকা বেশি নিচ্ছ মর্মে তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে বসে। ফলে তার ইস্যুকৃত চেকটি টাকা পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। ফলে নিরীহ্ লোকজন তাদের কথা মত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। দালালরা প্রতিনিয়ত এল.এ শাখার চেক ইস্যুর স্থান ও ট্রেজারী অফিসে গুর-গুর করে থাকেন।

কক্সবাজার এল.এ অফিসের দায়িত্বরত এল.ও আবু আশলাম সাংবাদিকদের জানান, এ রকম কেউ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ ফেলে সংশ্লিষ্ট দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা জনগণকে সর্তক করার জন্য আমাদের অফিসের সামনে দালালদের তালিকা করে দিয়েছি। এর পরেও কেন লোকজন দালালদের হাতে প্রতারিত হচ্ছে আমার বোধগম্য নয় ।
জেলার সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট দালালদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।