আবুল বশর পারভেজ,: মহেশখালী:

২০১৬ সালে ৩ অক্টোবর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এফবি রিয়াজ উদ্দিন নামের ফিশিং ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ জেলে হামিদ হোসেন এর ৭ মাসেও সন্ধান মিলেনি। ৫ ছেলে মেয়ে নিয়ে মশারির নেট দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে খুরশিদা বেগম এর।

কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ার ফারুক মাঝির মালিকানাধীন এফবি ারয়াঝ উদ্দিন এর েেজলে হিসাবে সাগরে মাছ ধরতে যায়। ৩ অক্টোবর ২০১৬ সালে সাগরে ট্রলার ডুবিতে ট্রলার সহ আর ফিরে আসেনি। এর পর থেকে এখনো স্বামী ফিরে আসার স্বপ্ন দেখে স্ত্রী খুরশিদা বেগম আর বাবা হারা ছেলে মেয়েরা। প্রতিদিনের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় তাদের খুড়ে ঘরে। ৩ ছেলে আর ২ মেয়ে নিয়ে অভাব অনটনের সংসারে কেহ খুজ নেয় নি খুরশিদার পরিবারে । মহেশখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ঘোনা পাড়া এলাকার আব্দুল মোনাফের মেয়ে খুরশিদার সাথে বিয়ে হয় চর পাড়া এলাকার ঈসমাইল হোসের পুত্র জেলে হামিদ হোসেন এর সাথে। ভাগ্যর নির্মম পরিহাস ৫ সন্তান হওয়ার পর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ স্বামী ৭ মাসেও বাড়ী ফিরে নি। বড় মেয়ে শারমিন আকতার (১৩) গোরকঘাটা লিডার শীপ স্কুলে ৬ ষ্ট শ্রেনীতে পড়ে, ২য় সন্তান ফয়সাল (১১) ৩য় ছেলে শাহিন আলম (১০) নাছিমা (০৭) আর দুগ্ধ সন্তান ইয়ছিন আরাফাতকে নিয়ে ছোট্ট ছেলেদের সহায়তায় মশারির নেট দিয়ে মহেশখালী পৌর সদরের দক্ষিণ পার্শ্বে হামিদার দিয়ার প্যরাবনের ফাকেঁ মাছ ধরে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করে খুরশিদার।

ছেলেরা পড়া আশায় স্কুল থেকে নতুন বই নিলেও অর্থভাবের কারনে পড়ালেখা বন্ধ করে মায়ের সাথে মাছ ধরে জীবিকার যোগান দেয়। জেলে হামিদ হোসেন এর স্ত্রী খরিশিদা জানান , আমার ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করতে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্তে ও আমি আর পারছি না। স্বামী ফিরে না আসলেও আমার বাবা হারা সন্তানদের পড়া লেখার সুযোগ সৃষ্টি করতে দেশের বিত্তবান দান শীল মানুষের সহায়তা চাই। পলেথিন মোডানো ঘরের একটি কুড়ে ঘর থেকে প্রতিদিন একটু সহায়তার আশায় প্রশাসন ও বড় লোকের ধারে ধারে ঘুরছে স্বামী হারা নারী খুরশিদা।