শেফাইল উদ্দিন, কক্সবাজার সদর:

ককসবাজার সদরের বাঁকখালী নদী থেকে উদ্ধারকৃত লাশ বেওয়ারিশ হিসাবে দাফনের পর পরিচয় মিলেছে। লাশটি রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের উল্টাখালী সিকদার পাড়া গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে খোকন বলে দাবী করছে তার পরিবার। তবে মৃত্যু নিয়ে জনমনে কৌতুহলের শেষ নেই। ইতিমধে লাশ উত্তোলনে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার বাকখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি লাশ উদ্ধার করে প্রশাসনকে অবগত করে। পরে নানা চে®টার পর ও লাশের পরিচয় না মেলায় বেওয়ারিশ হিসাবে দাফনের একদিন পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি থেকে পরিবার লাশটি খোকনের বলে শনাক্ত করে। পরিবার খোকনের দাফনকৃত লাশ উত্তোলনে প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ।
এ বিষয়ে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত বড়–য়ার জানান, বেওয়ারিশ হিসাবে দাফনকৃত লাশের পরিচয় পাওয়ার পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন পুর্বক ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
স্থানীয় লোকজন জানান , উক্ত খোকনসহ আরো কয়েকজন গত মঙ্গলবার সকালে খরুলিয়ার জিয়াউর রহমানের কথিত ইয়াবা সেবনের টঙ্গিতে অবস্থানকালে বাঁকখালী নদীর ঢলের পানিতে ভেসে আসা কাঠ উদ্ধারে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় টঙ্গে অবস্থান কারীরা তাদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে মনে করে নদীতে ঝাঁপ দিলে ঢলের পানিতে ভেসে যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন উদ্ধার হয় এবং এরপরদিন খোকনের লাশ পেয়ে বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করে প্রশাসন।