ইমাম খাইর, সিবিএন
গত ৩০ মে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরায় জেলায় নিখোঁজ ৭৩ জেলে পরিবারকে অনুদান দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অনুদান হিসাবে প্রতি পরিবারের জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের সরবরাহকৃত তালিকা অনুসারে ইতোমধ্যে অনুদান বিতরণ কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ সাইফুল আশরাফ জয় জানান, কক্সবাজার সদরের ২ জন, মহেশখালীতে ৫৩ জন এবং কুতুবদিয়ায় ১৮ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিল। তাদের পরিবারকে ২০ কেজি করে চালসহ নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সরকারীভাবে অনুদান বরাদ্দ দেয়া হয়।
অনুদান বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন- কক্সবাজার সদরে ২ জনের মধ্যে খুরুশকুল জানারঘোনার আমির সোলতানের ছেলে সেলিম উল্লাহ, আবুল কাসিমের ছেলে সাইফুল হক। কুতুবদিয়া উপজেলা থেকে ১৮ জন হলেন- উত্তর ধুরুং ৮ নং ওয়ার্ডের ফুডারপাড়ার মৃত জাবের আহমদের ছেলে এহেছান, মৃত আবু শামার ছেলে জকির আলম, ছৈয়দ আলমের ছেলে মোহাম্মদ আয়াছ, সাহেব মিয়ার ছেলে জালাল আহমদ, মৃত গোলাম রহমানের ছেলে গোলাম সোলতান, আবুল কাসেমের ছেলে ওসমান গণি (সোনা মিয়া), নাগু মিয়ার ছেলে নাজের হোসাইন, ৫ নং ওয়ার্ডের নজু বাপের পাড়ার মৃত মো. কালুর ছেলে মো. ইউনুছ, মৃত মো. কালুর ছেলে শফিকুর রহমান ও শওকত আলম, মৃত মোকতার আহমদের ছেলে নাজেম উদ্দিন নাজু, ৯ নং ওয়ার্ডের কুইল্যারপাড়ার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে শাহরিয়ার, ৪ নং ওয়ার্ডেল জইজ্যার পাড়ার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, ২ নং ওয়ার্ডের আজিম উদ্দিন উদ্দিন সিকদার পাড়ার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন বাদশা, ৩ নং ওয়ার্ডের মনসুর আলী হাজির পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. পারভেজ, আলী আকবর ডেইল ৪ নং ওয়ার্ডের ফতেহ আলী সিকদার পাড়ার কাছিম আলীর ছেলে ফরিদুল আলম, বড়ঘোপ ৬ নং ওয়ার্ডেল মুরালিয়ার সিরাজুল মনিরের ছেলে মো. ছোটন এবং আবদুস সাত্তারের ছেলে মোসলেম খান (বিটু)। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহেশখালী উপজেলায় সরকারী হিসেবে ৫৩ জন মৎস্যজীবি নিখোঁজ রয়েছে। তারই অনুদানভুক্ত হয়েছেন। এরা হচ্ছেন- পুটিবিলা কলেজপাড়ার মৃত মো. আলীর ছেলে ফরিদুল আলম, কবির আহমদের ছেলে মিজানুর রহমান, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমান উল্লাহ মাঝি, পৌরসভার দাসিমাঝিরপাড়ার আলি আহমদের ছেলে আমান উল্লাহ, মৃত মনির আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম, বদি আলমের ছেলে এহেছান উল্লাহ, মৃত ইছহাক মিয়ার ছেলে মীর কাসেম মেইট্যা, আনচার ড্রাইভারের ছেলে সারজান, পুটিবিলা মোবারক আলী পাড়ার হোছন আহমদের ছেলে সোহেল, বদি আলম (মনু মাঝি) এর ছেলে এমরান, মোশরফ আলী পাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে জাবের, মখলেচুর রহমান পাড়ার মৃত রৌশন আলীর ছেলে আনছার ড্রাইভার, আনছার ড্রাইভারের ছেলে মৌলভী মনিরুল হক, পীর মোহাম্মদের ছেলে আবদুল করিম, মৃত উম্মত আলীল ছেলে খলির আহমদ, আলি আহমদের ছেলে শহীদুল্লাহ, মনির আহমদের ছেলে আরাফাত, মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মোক্তার আহমদ, পৌরসভার মোশারফ আলী পাড়ার মৃত আমির হোসেনের ছেলে কবির আহমদ, মৃত বদিউল আলমের ছেলে এবাদুল করিম, হেদায়তুর রহমানের ছেলে মো. জহির, কবির মাঝির ছেলে মামুন, আবুল শামার ছেলে আবু ছিদ্দিক, সিপাহী পাড়ার মৃত আবদুশ শুক্কুরের ছেলে শাহাব মিয়া, পৌরসভার মুহুরীর ডেইল এলাকার কাছিম আলীর ছেলে গোলাম হোসেন, চরপাড়ার মমতাজ বাবুর্চি, পুটিবিলার রাহামত উল্লাহর ছেলে লোকমান, আহমদিয়া কাটার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হোছন মাঝি, দীঘির পূর্বপাড়ের মৃত মকতুল হোছনের ছেলে গফুর বাবুর্চি, গফুর বাবুর্চির ছেলে মনির উল্লাহ মনি, ঘোনারপাড়ার ওসমান মাঝির ছেলে বেলাল হোসেন, বেলাল আহমদের ছেলে নুর আহমদ,আহাম্মদিয়াঘাটার হাবীবুর রহমানের ছেলে খুরশিদ মিয়া, কুতুবজুম মেহেরিয়া পাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে নুরুল আবছার, গোরকঘাটার হোছন আলীর ছেলে রফিক মিয়া, ঘোনারপাড়ার মৃত নুরুল হকের ছেলে শাহাব উদ্দিন, পূর্ব খন্দকার পাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে ইছহাক মিয়া, মৃত আবুল কন্ট্রাক্টরের ছেলে মোস্তাক আহমদ চুইন্যা, দক্ষিণ ঘোনারপাড়ার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে নেছার মাঝি, ঘোনারপাড়ার হাবীবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হোছন কালাইয়া মাঝি, ফরিদুল আলমের ছেলে আবু হামিদ, বড় মহেশখালী জাগিরা ঘোনার বাশি মাঝির ছেলে খাইরুল আমিন, পৌরসভার চরপাড়ার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে আজাদ ড্রাইভার, আবুল কাসেমের ছেলে শামসুল আলম, আমির হোসাইনের ছেলে ছৈয়দ উল্লাহ, আবদুস সালামের ছেলে জাবেদ উল্লাহ, ইসমাঈলের ছেলে শহিদ উল্লাহ, মুন্সির ডেইল এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে মোতালেব, সোলতান আহমদের ছেলে ফজল করিম, পৌরসভার মোবারক আলী পাড়ার মৃত আবু তাহেরের ছেলে আমানুল করিম, ছোট মহেশখালীর মধুরছড়ার শামসুল আলমের ছেলে ইয়াছিন, ডেইলপাড়ার মৃত ইসমাঈলের ছেলে নুরুল হোসেন।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জেলাব্যাপী ৩৩৪ মে. টন চাল এবং ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৯২৯ টাকা দূর্যোগাক্রান্ত এলাকায় বিতরণ করা হয়। তম্মধ্যে কক্সবাজার সদরে ২৭ মে. টন চাল, ৭০ হাজার নগদ টাকা, রামুতে ১৮ মে. টন চাল চকরিয়ায় ৪৪ মে. টন চাল, ১ লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকা, পেকুয়ায় ২৮ মে. টন চাল, ৭০ হাজার নগদ টাকা, মহেশখালীতে ৭২ মে. টন চাল, ৬ লাখ নগদ টাকা, কুতুবদিয়ায় ৫০ মে. টন চাল, ৬ লাখ নগদ টাকা, উখিয়ায় ৩ মে. টন চাল, টেকনাফে ৬৫ মে. টন চাল, ৬ লাখ নগদ টাকা, কক্সবাজার পৌরসভায় ২৫ মে. টন চাল, ১ লাখ নগদ টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ২ লাখ ১২ হাজার ৯২৯ টাকার শুকনো খাবর বিতরণ করা হয়।