হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারিতে অপহরণ চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে সুলতান আহমদ (৫৫) ও আবুল কালাম (৫০) নামে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা মুজাহিদ পরিচয়ে ওই দুজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতে তৎপর ছিলো।

বুধবার (১৪জুন) রাত সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ বাইশারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত দুজন একই গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় সুলতান আহমদের স্ত্রী শারমিন আক্তারও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আইন উদ্দিনের পরিবার ২০ বছর আগে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা থেকে বাইশারিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন।

দক্ষিণ বাইশারি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবু তৈয়ব বলেন, ‘আহতদের শৌরচিৎকারে গ্রামবাসী ও পুলিশ এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। অন্যতায় এই রমজান মাসে তাদেরকে কঠিন বিপদের সম্মূখিন হতে হতো।’

ঘটনার শিকার আবুল কালাম বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছেলে রফিকুল ইসলামের নাম ধরে ডাকাডাকি করলে ঘরের দরজা খুলে দেখি-পাঁচজন লোক অস্ত্র নিয়ে দাঁিড়য়ে আছে। পরে তারা মুজাহিদ পরিচয় দিয়ে আমাকে এবং আমার ভাই সুলতানকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাহাড়ের দিকে হাঁটতে বলেন। তখন আমার স্ত্রীও তাদের পিছু নেয়। কিছুদূর গিয়ে বুঝতে পারি তারা আমাদেরকে অপহরণ করছে! একপর্যায়ে আমরা জীবন বাঁচাতে অপহরণকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি এবং বাঁচাও বাঁচাও বলে শৌরচিৎকার করি। এসময় তারা আমাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করতে চেষ্টা করেছে।’

বাইশারি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মুসা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অপহরণ চেষ্টার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও সাধারণ লোকজন এগিয়ে গেলে-অপহরণকারীরা আবুল কালাম, সুলতান আহমদ ও আবুল কালামের স্ত্রীকে নানাভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। সঠিক সময়ে আমরা না গেলে হত্যার মতো ঘটনার জন্ম হতো। আহতদের গ্রামের পাহাড়ী এলাকা থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা এখন শঙ্কা মুক্ত।