সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেষ্ট মালিক সমিতির ইফতার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ জুন মঙ্গলবার বিকালে হোটেল মোটেল জোন এলাকার ডায়মন্ড হোটেলে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব ওমর সুলতানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ইফতার ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি মোঃ আবদুর রহমান। বক্তব্যে তিনি বলেন, হোটেল মোটেল জোন এলাকার প্রধান দুঃখ যানজট, দখলবাজি ও সমন্বয়হীনতার অভাব। সরকার কক্সবাজারের উন্নয়নে একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আরো অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তাই স্বপ্নের পর্যটন নগরী গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। সংগঠনের সদস্য কলিম উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেষ্ট মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কোম্পানী ও কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা সমিতির অতীতের পর্যটন উন্নয়নের কার্যক্রমের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া সমিতি কর্তৃক পেশকৃত ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। দাবি সমূহ হলো-১/ বিদ্যামান ঝাউবনকে বিনোদন বা পর্যটক পার্কে রূপান্তর এর ব্যবস্থা। ২/ ঢাকা, চট্টগ্রাম হতে আগত সকল দুরপাল্লার বাস/গাড়ী সমূহ পূর্বের ন্যায় হলিডের মোড় পর্যন্ত নামিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ৩/ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও এলজিডি সড়ক এর মধ্য দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ। ৪/ নাজিরার টেক পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ ও সমুদ্রে নামার জন্য ১টি জেটি নির্মাণ করা। যা পর্যটকদের প্রমোদতরী ও সোনাদিয়া মহেশখালী দ্বীপে যাতায়াতে ব্যবহার হবে। ৫/ কেন্দ্রীয় ভাবে সোয়ারেজ প্লান নির্মাণ। ৬/ প্রস্তাবিত কক্সবাজার পর্যটন রেল লাইন, গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ/সংযোগকরণ। ৭/ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত সড়কের চার লাইনে উন্নীতকরণ। ৮/ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রোডে বিআরটিসির বাস বৃদ্ধিকরণ। ৯/ দক্ষ পর্যটনকর্মী সৃষ্টির লক্ষ্যে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির উদ্যোগে পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ ও কর্মশালা পরিচালনা করণ। ১০/ অত্র এলাকার সংরক্ষিত মাঠের একটিতে গাড়ি পার্কিং অন্যটিতে ফায়ার সার্ভিস ও মিনি পার্ক স্থাপন। ১১/ অত্র সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিকে পূর্বের ন্যায় আইনশৃঙ্খলা কমিটিসহ অন্যান্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করণ। ১২/ পৌরসভা কর্তৃক ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তাহের ভবন হতে কালুর দোকান পর্যন্ত সড়ক চালুকরণ। ১৩/ পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের শিশুদের শিক্ষার জন্য লাইট হাউস এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় মঞ্জুরকরণ। ১৪/ আনবিক শক্তি কমিশন হতে সৈকত পাড়া হয়ে হিলডাউন সার্কিট হাউস পর্যন্ত সড়ক (মাষ্টার প্লান অনুসারে) চালু করণ। ১৫/ বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি নাইট বাজার বাস্তবায়ন। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ইফতার ও মতবিনিময় সভা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ড. নুরুল আবছারের মোনাজাতের মধ্য দিতে সম্পন্ন হয়।