মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম:

টানা দুদিনের ভারি বর্ষণে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির ঢলে শঙ্খ নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সাতকানিয়ায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ৪০ গ্রামে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বাজালিয়ার বোমাংহাটের পূর্বে মীর পাড়া এলাকায় শঙ্খ নদীর বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। বন্যায় উপজেলার বাজালিয়া বড়দুয়ারা এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে (আজ) ১৩ জুন মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বিকালে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার কসাইপাড়া পাঠানিপুল এলাকায় বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে সোমবার রাত ৩টা থেকে ৬ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় সড়কের উভয় পাশে কয়েক শতাধিক গাড়ী আটকা পড়ে। এতে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। এসময় যাত্রীরা পানিতে ডুবে থাকা স্থানে ভ্যান ও রিক্সা দিয়ে পারাপার করেন। উপজেলার বাজালিয়া, ছদাহা, কেঁওচিয়া, পশ্চিম ঢেমশা, দক্ষিণ ঢেমশা, সদর ইউনিয়ন, সোনাকানিয়া, চরতী, আমিলাইষ, ধর্মপুর ও কালিয়াইশে বন্যায় কয়েক শতাধিক মৎস্য পজেক্ট ডুবে চাষীদের কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বাজালিয়া বড়দুয়ারার বাসীন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, মাহালিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় সড়ক ৩ ফুট পানিতে ডুবে গেছে। সড়কের উভয় পাশে আটকা পড়া গাড়ীর যাত্রীরা ভ্যান ও রিক্সা দিয়ে পার হচ্ছে। এই এলাকায় বেশ কিছু মাছের পজেক্ট বন্যার পানিতে ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া এখানকার পানি বন্দি অনেক পরিবার রান্না ঘর ডুবে থাকায় না খেয়ে থেকেছেন।

বাজালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত বলেন, আমার এলাকায় শঙ্খ নদীর বাঁধ ভেঙ্গে দুই হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে ঘরবাড়ী ডুবে যাওয়ায় অনেক পরিবার দুরে আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে।