নিজস্ব প্রতিবেদক :
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক কেরুনতলী বাজারে দোকান লুট করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এসময় বাধা দিতে গেলে আনিমুল করিম মনির নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করেছে ওই সন্ত্রাসীরা। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ১২ জুন সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাহত ব্যবসায়ী মনির কেরুনতলী এলাকার করিমদাদ সিকদারের পুত্র। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আহত ব্যবসায়ী মনির জানান, কেরুনতলীর মৃত মো. ছৈয়দের পুত্র কায়সার বাবুলের নেতৃত্বাধীন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন মনিরের দোকান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অব্যাহত ভাবে হুমকি প্রদর্শন করে। তারপরও চাঁদা না দেয়ায় এক পর্যায়ে ১২ জুন বিকালে কায়সারের ভাগিনা শাকিল হুমকি দিয়ে মনিরের দোকানে ক্যাশ বক্সে থাকা প্রায় হাজার খানে টাকা ছিনতাই করে করে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করায় ইফতারের পর কায়সার বাবুলের নেতৃত্বে তার বোন জামাই আবদুল জব্বার, জব্বারের পুত্র শাকিল ও ফারুকসহ ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত দোকানে হামলে পড়ে। এতে বাধা দিতে গেলে দোকানের মালিক মনিরকে উপযর্পুরি ছরিকাঘাত ও হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। তাকে আঘাত করে দোকানের একটি ল্যাপটপ ও চারটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালমাল লুট করে। এসময় সন্ত্রাসী ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে লোকজন কেউ এগুতে পারেনি। পরে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়।
এদিকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হওয়া মনিরকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সো ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অবশেষে ওইদিন রাত ২টার দিকে মনিরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া ও শরীরে মারাত্মক হওয়ায় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাথে সাথে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে দেন। রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, এদিকে ঘটনার সন্ত্রাসীর উল্টো মামলা না করতে মোবাইল ফোনে আহতের পরিবারকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছে। মামলা করলে খুন করা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মনিরের ভাই বয়ান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কায়সার বাবুল সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্যাডার। বক্সু মেম্বার হত্যা, অস্ত্র ও নানা অপরাধে তার বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। তারপরও সে তার ঘরোয়া বাহিনী নিয়ে এলাকা চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায় না। এতে পার পেয়ে এই কায়সার বাবুলসহ তার লালিত সন্ত্রাসীরা।