হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
বিদ্যুৎ বিহীন টেকনাফ উপজেলা পরিষদে প্রায় কোটি টাকা মুল্যে স্থাপিত সৌর বিদ্যুৎও অচল হয়ে পড়েছে। জরুরী প্রয়োজনে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা হলেও তা জরুরী প্রয়োজনের সময় বিশেষতঃ দুর্যোগ মুহুর্তে কাজে আসছেনা। পুরো টেকনাফ উপজেলা গত ২ দিন ধরে সম্পুর্ণ অন্ধকারে। একে তো পবিত্র মাহে রমজান, উপরন্ত আপদকালীন এ সময়ে কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত সৌর বিদ্যুৎ কাজে আসেনি। এতে বিদ্যুৎ নির্ভর সরকারী জরুরী কাজ ও যোগাযোগ বন্দ রয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও জরুরী প্রয়োজনে কাজ চালানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয় ইলেকট্রো কোম্পানী নামক একটি সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে টেকনাফ উপজেলা পরিষদে ৩০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করে। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন ও আদালত ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল আয়তনের ২টি সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয় টেকনাফ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসকে। কিন্ত যথাযথ তদারকির অভাবে তা প্রায় সময় অচল থাকে। গত ২৯ ও ৩০ মে ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ চলাকালে টেকনাফে বিদ্যুৎ ছিলনা। জরুরী প্রয়োজনে বিশেষতঃ দুর্যোগকালীন কাজ চালু রাখতে প্রায় কোটি টাকা মুল্যে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসেনি। ১২ জুন দুপুরে এব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ আফছার উদ্দিন বলেন ঘুর্ণিঝড়ের পর ঢাকা থেকে কোম্পানীর লোকজন এসে চালু করে দিয়ে চলে গেছেন। এত অল্প দিনের ব্যবধানে আবারও কেন সৌর বিদ্যুৎ অচল হয়ে পড়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন ‘আমি এবিষয়ে এক্সপার্ট নই, তেমন কিছু বুঝিনা’।