হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

ঘুর্ণি বিধ্বস্থ টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বিদ্যুৎ ও ত্রাণ তৎপরতা নেই বলে জানা গেছে। এতে পবিত্র রমজান মাসে ঘুর্ণি দুর্গত মানুষের মাঝে হাহাকার চলছে। তাছাড়া সরকারী ত্রাণ বরাদ্দে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায় ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানার পর ১০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখনও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছেনি। তাছাড়া এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়নি। হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারী ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানার সময় দেশে ছিলেননা। পবিত্র ওমরা পালন করতে সউদি আরব ছিলেন। গত রাতে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। এলাকায় ফিরে ঘুর্ণি বিধ্বস্থ অবস্থা বিশেষতঃ এখনও বিদ্যুৎ ও ত্রাণ নেই দেখে দুঃখ, মর্মাহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করে জানান ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানার পর ১০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নে ঘুর্ণি দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ না পৌঁছা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে দুর্গত মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বরাদ্দে বৈষম্যের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত কাজে বিভিন্ন অনিয়ম এবং ধীরগতির অভিযোগ তুলে তিনি আরও জানান বিদ্যুতের বিষয়ে কথা বলতে তিনি ডিজিএম এর কাছে অসংখ্যবার ফোন করেছেন। কিন্ত ডিজিএম ফোন রিসিভ করছেননা।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নে খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ১৮০টি। কিন্ত এপর্যন্ত টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন থেকে সরকারীভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ২ মেট্রিক টন চাল। যা অত্যন্ত অপ্রতুল ও বৈষম্যমুলক। হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ এবং দ্রুততার সাথে বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করে সংযোগ চালু করার দাবি জানিয়েছেন।