পেকুয়া সংবাদদাতা:

পেকুয়া কর্মসৃজন প্রকল্পে প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) শুভ্রাত দাশের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূনীর্তির অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়াও ঘুষের টাকা না দেওয়ায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাহাবুব আলমের সাথে ওই কর্মকর্তার হাতাহাতি ও অশ্লীল বাক্য বিনিময়ের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ৬ জুন প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাতাহাতি ও অশ্লীল বাক্য বিনিময়ের ঘটনাটি ঘটে।

ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পিআইও শুভ্রাত দাশ কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রত্যেকটি প্রকল্প সভাপতির(পিসি) কাজ থেকে নিদৃষ্ট পরিমান টাকা কেটে রাখেন। যে আগে টাকা দিবেন তার ফাইল আগে সাক্ষর করা হয়। এ নিয়ে মেম্বার তার ওয়ার্ডের শ্রমিকের টাকার ফাইলে সাক্ষর করতে গেলে তালবাহানা শুরু করেন। অথচ তার সামনে নগদ ঘুষের টাকা দেওয়ায় অন্য দুটি ওয়ার্ডের ফাইল সাক্ষর করে ছেড়ে দেন। এ নিয়ে মাহাবুব আলম প্রতিবাদ করতে পিআইও তাকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার সাথে মেম্বারের াতাহাতি হয়। এ সময় মাহাবুব আলম পিআইও’র অনিয়মের কথা উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে উপস্থাপন করলে সবাই হতবাক হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে মাহাবুব আলম বলেন, তার ওয়ার্ডের শ্রমিকরা সময় মতো কাজ করেন। মাঝে মধ্যে দুই একজন বিভিন্ন কাজের জন্য আসতে পারেনা না। পিআইও একদিনের জন্য সরোজমিন কর্মসৃজন প্রকল্পে না গিয়ে ঠিকমত লোক কাজ করে নাই বলে টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে আমার সামনে অন্য দুই ওয়ার্ডে ফাইল সাক্ষর করে দিলে আমি প্রতিবাদ করি। তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাছ শুরু করে। আমিও তাকে টাকা দিয়ে ফাইল সাক্ষর করব না বলে সরাসরি জানিয়ে দিই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও শুভ্রাত দাশ বলেন, তার ওয়ার্ডে অনেক শ্রমিক কাজে যোগদান না করে উপস্থিত আছে বলে জানায়। বিষয়টি গরমিল পাওয়ায় তার ফাইল আটক করা হয়। তাতে সামান্য বাক্য বিনিময় হয় হাতাহাতি হয়নি।