রফিক মাহমুদ, উখিয়া:

টেলিকম কোম্পানী রবি-এয়াটেলের রমজান ও ঈদ বোনাসের নামে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর শক্তিশালী প্রতারক চক্র। রিতিমত এই প্রতারক চক্র দেশের সহজ-সরল ও সাধরণ গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের লটারি ও বোনাসের নামে অগ্রীম হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সবর্স্ব হারিয়ে পথে বসেছে অনেকে। উক্ত প্রতারক চক্রের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেনা দেশের চাকরি জীবি থেকে শুরু করে কৃষক পযর্ন্ত। প্রতারক চক্র সাধরণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। এমন এক প্রতারণা চক্রের ঘটনা ঘটেছে ৭ জুন বৃহঃবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজের মাস্টাস পড়–য়া এক ছাত্রের সাথে। চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টাস এর ছাত্র আবুল কাশেম জানান, হঠাৎ করে টেলিকম কম্পানী রবি এর অপরিচিত একটি নাম্বার (০১৮৭৯৮২৫৫৫০) থেকে ফোন করে বলে আপনি পবিত্র রমজান ও ঈদ বোনাস হিসাবে ১ বছর ৫ মাস ৭ দিনের জন্য ১৫ হাজার ৫শত ৭০ টাকা বোনাস পেয়েছেন। বোনাসটি কিভাবে নিতে হবে তা জানতে হলে নির্জন ও কোলাহল মুক্ত এলাকায় গিয়ে কথা বলতে হবে। না হয় আপানকে বোনাসটি কিভাবে নিতে হবে তা বুঝাতে পারবনা বলে অপর প্রান্তের ভদ্রলোক মধুর সুরে কথা বলতে শুরু করে। অপর প্রান্তের ভদ্রলোক ফোনে আমাকে বলে বোনাসের টাকা নিতে হলে তাদের অন্য একটি নাম্বারে (০১৮৮১৭৪৪২৯৬) নগদ ১৫০ টাকা ১৫মিনিটের মধ্যে রির্চাজ করতে হবে। রির্চাজের কথা বলায় আমি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছি টের পেয়ে আপনারা রির্চাজের টাকা কেটে রেখে বাকি টাকা আমার নাম্বারে রির্চাজ করে দিতে বলি। তখন অপর প্রান্তের ভদ্রলোক তাদের এধরনের নিয়ম নেই বলে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে। গ্রাহক আবুল কাশেম যখন উক্ত নাম্বার ২টি নিয়ে রবি কোম্পানী ও র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করবে বলে তখন অপর প্রান্তের ভদ্রলোক আর ভদ্র না থেকে অশালীন কথা-বার্তা বলে আমাকে দেখে নেবার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেয়।

কাশেম অভিযোগ করে বলেন, দেশে সাইবার ক্রাইম ও টেলিকম কম্পানীর প্রতারণার হাত থেকে সাধরন গ্রাহকদের নিরাপ্তা দেওয়ার জন্য সরকার টেলিকম কম্পানীর প্রতিটি সিম র্কাড ডিজিটাল পিঙ্গারপিনের আওয়তায় এনে পুনঃরায় রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে। তার পরেও কিভাবে দেশের সাধরন মানুষ প্রতিদিন প্রতারণার শিকার হচ্ছে? এখন ভাবার বিষয়। সাইবার ক্রাইম ও প্রতারক চক্রের হাত থেকে দেশের সাধরন মানুষকে রক্ষা করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সজাগ নেই বললেই চলে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এ ব্যাপারে কোন ধরনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেনি এ পযর্ন্ত।

এ ব্যাপারে জানার জন্য উপরে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নাম্বার ২টি বন্ধ থাকায় প্রতারক চক্রের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রতারক চক্রের শিকার আবুল কাশেম কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা গ্রামের বাসিন্ধা। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের মাস্টাসের ছাত্র।