আহমদ গিয়াস:

আমাদের বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে বাংলাদেশের মৎস্য বিজ্ঞানীরা। বিষয়ে সমুদ্রে এখন জরীপ কাজ চলছে। বঙ্গোপসাগরে যে ৪৭৫ প্রজাতির মাৎস্য রয়েছে তারমধ্যে কোন প্রজাতির মাছের প্রজননকাল বা ডিমছাড়ার সময় কবে তা নির্ণয়ে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বাংলাদেশের মাৎস্য বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশ সামুদ্রিক মাৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ ও মৎস্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ জরীপ কাজ চালাচ্ছেন। আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ জরীপ সম্পন্ন করা সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে। জরীপ কাজটি সম্পন্ন করা গেলে ইলিশের মতোই প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকার বন্ধ করে বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা বিষয়ে দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক এমআই গোলদার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন- ‘আমাদের বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সমুদ্র সম্পর্কিত অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি জোরদারের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশের মৎস্য বিজ্ঞানীরা। এরই অংশ হিসাবে কক্সবাজারের মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ৯টি নতুন গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এক বছরের জন্য গৃহীত এ গবেষণা প্রকল্পগুলো সফল হলে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়নে পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের কাতারে ওঠে আসবে।

এবিষয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে বলেন- অতীতে নানা কারণে আমরা সফল হতে পারিনি। কিন্তু কেন পারিনি তা খুঁজে বের করতে হবে।

বাংলাদেশ মাৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন। আলোচক ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবদুল আলিমসহ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।

উক্ত সভায় আগামী অর্থ বছরের জন্য আমদানী বিকল্প আর্টিমিয়া তৈরী, বাণিজ্যিকভাবে সামুদ্রিক শৈবাল উৎপাদন, কাঁকড়ার পোনা উৎপাদন, ভেটকি মাছের পোনা উৎপাদন, বাণিজ্যিকভাবে সৌন্দর্যবর্ধনকারী মাছ উৎপাদনসহ মোট ৯টি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।