ফারুক আহমদ, উখিয়া:

উখিয়ার ভালুকিয়া পালংয়ে পৈশাশিক হত্যার শিকার গৃহবধূ মনজুরা বেগম (২৪) এর খুনি ঘাতক স্বামী ছৈয়দ হোসনকে হত্যাকান্ডের ৭ দিন পরও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে নি। শুধু তাই নয় ঘাতক লম্পট স্বামীর সহযোগীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

থানায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নাককাটা গ্রামে গত ১ জুন ২টার দিকে স্বামী ছৈয়দ হোছন পরিকল্পিত ভাবে নিজ ঘরে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এসময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী ছুরিকাঘাত করে।

গ্রাম বাসীরা জানায় রতœাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়াস্থ পূর্ব কূল গ্রামের খুইল্যা মিয়ার মেয়ে মনজুরা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত সোনা আলীর ছেলে ছৈয়দ হোসেনের মধ্যে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ছালাহ উদ্দিন (৭) ও আলা উদ্দিন (৫) নমের ২জন সন্তান রয়েছে। স্বামী ছৈয়দ হোসন লম্পট হিসাবে এলাকায় পরিচিত। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে প্রায় সময় মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল।

মেয়ের পিতা বায়াবৃদ্ধ খুইল্যা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী মনজুরা বেগম বাপের বাড়িতে চলে আসে। এরই মধ্যে গত ১ জুন ঘাতক স্বামী সু কৌশলে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই দিন কয়েকজন সহযোগীর পরামর্শে আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। হত্যার পর সহযোগীদের সহযোগীতায় ঘাতক স্বামী সৈয়দ হোসন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিকালে উখিয়া থানার পুলিশ ক্ষত বিক্ষত জবাই কৃত মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজারে প্রেরণ করে। এ ব্যপারে পিতা খুইল্যা মিয়া বাদী হয়ে খুনি ছৈয়দ হোসনকে প্রধান আসামী করে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

নিহত বোনের ছোট ভাই মোঃ আলী অভিযোগ করে বলেন ঘটনার ৭দিন পরও প্রধান আসামীকে ছৈয়দ হোসেনকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারে নি। এছাড়াও হত্যাকারীর সহযোগী মৃত সোনালীর পুত্র জাহাঙ্গীর, শাহজাহান, নাককাটা গ্রামের খাইরু, শাহাব উদ্দিন, ও নূর মোহাম্মদ হত্যাকান্ডের ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে। শুধু তাই নয় আমার বোনকে নৃশংস হত্যাকান্ডের পিছনে এসব ব্যক্তির ইন্দন রয়েছে।