বার্তা পরিবেশক :

কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন রোডস্থ নুরপাড়ার ফরিদা ইয়াছমিন নামের এক মহিলার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ সুত্রে জানা যায় , ফরিদার কাছে জিম্মি হয়ে আছে সাধারণ মানুষ। এই মহিলার ষড়যন্ত্র আর প্রতারণার শিকার হয়ে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাধিক ব্যক্তি। শুধু তাই নয় বিনা কারণে সহজ-সরল অসহায় মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করে ফরিদা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে ফরিদার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী লোকজন। সর্বশেষ ৬ (মঙ্গলবার) ফরিদার হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শহরের পেশকার পাড়ার মোক্তার আহমদের পুত্র সিরাজুল মোস্তফা। এই লিখিত অভিযোগে জানা যায়-বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মাহারা পাড়ার বজল আহমদের মেয়ে ও ফেনী জেলার মাটুয়া উপজেলার ছাগল নাইয়া এলাকার আবু তৈয়ব সুমনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমিন (হালসাং-নুরপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা) শহরের এন্ডারসন রোডে ফরিদা ইয়াছমিন ডেন্টাল কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের আড়ালে সাধারণ মানুষকে নানা ভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ওই অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়-এই ফরিদা কুতুবজোম ইউনিয়নের দৈলার পাড়ার মৃত মোহাম্মদ জাফরের পুত্র মোহাম্মদ সাকেরকে ভিসার মাধ্যমে ওমান নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় বিগত ২২/০৭/২০১৬ইং তারিখ সাকের ফরিদাসহ তার ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এতেও শেষ নয় ফরিদার ষড়যন্ত্র, হয়রানি আর প্রতারণার চিত্র আরো দীর্ঘ। একই ভাবে ফরিদা নুর পাড়ার মৃত নুরুল হকের পুত্র জয়নাল আবেদীন জুনুর বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে (যার মামলা নং-নারী-৪৮৮/১৪ইং)। পরবর্তীতে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপোষ দেয় ফরিদা। পুলিশ সুপার বরাবরে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে সিরাজুল মোস্তফা আরো অভিযোগ করেন-তার ভগ্নিপতি ওবাইদুল হোসাইনের মালিকাধীন ভবনে ফরিদা বাসা ভাড়া চাইলে ফরিদার কু-কর্মের কথা জানতে পেরে ওবাইদুল হোসাইন বাসা ভাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতেই শুরু ফরিদার মামলা বাণিজ্যের আরেক অধ্যায়ের। বাসা ভাড়া না দেয়ার জের ধরে ফরিদা প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতন মামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজুল মোস্তফার ভাই মোবারক হোসেন, ভগ্নিপতি ওবাইদুল হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। যা বিজ্ঞ আদালত গ্রহণ করে সদর মডেল থানারকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দেন। যাহ জি.আর নং-৫৫৬/১৭, সদর থানার মামলা নং-১১৮, তাং-৩১/০৫/২০১৭ইং। মামলার আসামীদের অভিযোগ এই মামলাবাজ ও প্রতারক ফরিদা বর্তমানে উক্ত মামলা আপোষ দেয়ার জন্য বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে নগদ এক লাখ টাকা দাবী করে আসছে। এছাড়াও ফরিদার বিরুদ্ধে হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে গত ২০/০৭/২০১৬ইং তারিখ সদর থানায় সাধারণ ডাইরী করেন ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুলের আশারফুজ্জামানের পুত্র নুরুল আবছার (যার নং-৯৩১, তাং-১৮/০৮/১৬ইং)। আবছার জানায়, ফরিদা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নানা ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অসৎ উদ্দেশ্য থেকে বাচঁতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এদিকে উল্লেখিত অভিযোগ ছাড়াও ফরিদার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অপকর্মসহ বিয়ের নামে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও। এভাবেই সরজ-সরল, অসহায় সাধারণ মানুষদের টার্গেট করে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ফরিদা ইয়াছমিন নামের এই মহিলাটি। তার অত্যাচারে এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ইতিমধ্যে অনেক সাধারণ মানুষকে হতে হয়েছে নি:স্ব। তাই ফরিদা নামের এই মামলাবাজ, প্রতারক মহিলার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এদিকে অভিযোগে আরো জানা যায়, এই মামলাবাজ ও প্রতারক ফরিদার রোষানল থেকে বাচঁতে গত ৪ জুন পেশকারপাড়ার ব্যবসায়ি ওবাইদুল হোছাইন বাদী হয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও বর্তমানে পেশকারপাড়া ও নুরপাড়ার একাধিক প্রবীন মুরব্বি ও সমাজপ্রতিনিধিসহ অসহায় অনেক মানুষ পুলিশ সুপার বরাবরে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে।