সিবিএন  : বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)’র সহ-সভাপতি ও সিএইচটি মিডিয়ার সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলনকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা ।
জানা গেছে , নির্মল বড়ুয়া মিলনকে আজ ভোর পাঁচটার দিকে হবিগঞ্জ জেলার চুনারিঘাটে সাত ছড়ি এলাকার একটি জঙ্গলের মাঝে চোখবাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে অপহরণকারীরা চলে যায় ।
এদিকে কাল রাতে নির্মল বড়ুয়া মিলনকে কে বা কারা অপহরণ করে । এ ব্যাপারে রাতেই নির্মল বড়ুয়া মিলনের স্ত্রী বনপা’র মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জুঁই চাকমা রাঙামাটি থানায় একটি জিডি করেন।
জুঁই জানান, ডাক্তার রেনিন সুয়ে তালুকদার নামে এক ব্যক্তির জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা জানতে পেরে নির্মল বড়ুয়া মিলন ৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাঙামাটি জেলখানার সামনে যায়। ডাক্তার রেনিন সুয়ে তালুকদার জেল থেকে বেরিয়ে আসলে নির্মল বড়ুয়া মিলন তার সাথে কথা বলছিলেন । এমন সময় চট্ট-মেট্ট্রো : ১৩৪৪৬৫ নম্বরের একটি হাইস গাড়িতে ডাক্তার রেনিন সুয়ে তালুকদার ও নির্মল বড়ুয়া মিলনকে সাদা পোষাক ধারীরা জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায় । বিষয়টি জানতে পেরে জুঁই চাকমা তাৎক্ষনিক রাঙামাটি থানায় যান এবং ওসি মোহাম্মদ রশিদের পরামর্শে জিডি করেন।
এ সংবাদ জানার পর বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামসুল আলম স্বপন সাথে সাথে রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হকের সাথে কথা বলেন। পুলিশ সুপার জানান ঘটনাটি আমরা শুনেছি । এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য একিট সংবাদকে কেন্দ্র করে রাঙামাটির শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান ও সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসে তথ্য-প্রযক্তি আইনের ৫৭ ধারায় নির্মল বড়–য়া মিলন ও তার স্ত্রী জুঁইকে আসামী করে মামলা করেন। ওই তারা জামিনে কারামুক্ত মুক্ত হন । নির্মল বড়–য়া মিলনের অপহরনের সাথে মামলার বাদীদের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।
এদিকে নির্মল বড়ুয়া মিলনকে আজ ভোর পাঁচটার দিকে হবিগঞ্জ জেলার চুনারিঘাটে সাত ছড়ি এলাকার একটি জঙ্গলের মাঝে চোখবাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে অপহরণকারীরা চলে যায় । তাকে ফিরে পাওয়ায় বনপা নেতৃবৃন্দ সৃষ্টিকর্তারা কাছে শোকরিয়া জানিয়েছেন। এবং অপহরণের ঘটনা তদন্তের ও নির্মল বড়ুয়া মিলনের নিরাপত্তা দাবী করেছেন।